শীত এলেই দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যা। গরম থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করলেই বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে থাকে। একইসঙ্গে বাড়ে রোগজীবাণুর প্রকোপ। তাই হুট করেই দেখা দেয় ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি, গলা খুসখুস করার মতো সমস্যা।
শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে ভরসা রাখুন তুলসীপাতায়। কী কী উপকার মিলবে এই ভেষজ চা খেলে? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

রোজ সকালে তুলসী চা পান করলে কী কী উপকার হবে?
১. সর্দি-কাশির সমস্যা কমবে
শীতকাল এলেই অনেকের শ্বাসকষ্ট বাড়ে। ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমে যায়। সকালে নিয়মিত তুলসি চায়ে চুমুক দিলে অনেক আরাম পাবেন। দূর হবে সর্দি-কাশির সমস্যা।
বিজ্ঞাপন
২. গাঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি
শীতকালে বাতের ব্যথা বাড়ে। এই পানীয়ে নিয়মিত চুমুক দিলে গাঁটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. হজমে সহায়ক
শীতকাল মানেই জমিয়ে ভূরিভোজ। বিয়েবাড়ি, পিকনিক কিংবা এর ওর বাড়িতে ভোজ তো লেগেই আছে। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম মানেই বদহজমের সমস্যা। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে ভরসা রাখুন তুলসী চায়ে।
৪. ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়
কম পানি খাওয়ার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যার কারণে পেটে পাথর জমার আশঙ্কা থাকে। এই সমস্যায় ভুগলেও তুলসী চা খেতে পারেন। আরাম মিলবে।

৫. র্যাশ ও চুলকানি কমায়
শীতকাল এলেই শুষ্ক হয়ে যায় চুল ও ত্বক। তুলসী চা শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত পরিষ্কার হয়। ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় এই চা খেলে। চুলেও জেল্লা আসে।
কীভাবে তুলসী চা বানাবেন?
একটি পাত্রে পানি গরম করে আদা ও তুলসীপাতা দিয়ে খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ছেঁকে একটি টিব্যাগ এবং এক চা চামচ মধু দিয়ে বানিয়ে ফেলুন তুলসী চা।
এনএম

