সুস্থ থাকতে ঘুমের বিকল্প নেই। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমের বিকল্প নেই। কম ঘুম ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। কিন্তু ডিপ্রেশন কি কেবল কম ঘুমের কারণেই হয়?
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত ঘুমও নানা শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে। ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর অভ্যাসে দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশন।
বিজ্ঞাপন

ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, অত্যধিক মানসিক চাপ, ক্রনিক রোগ, ওষুধের প্রভাবসহ নানা কারণে অনেক সময়েই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুম হয়।
কিন্তু চমকপ্রদ তথ্য হলো, এপিডেমিওলজিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মৃত্যু ও অসুস্থতার হার। দীর্ঘক্ষণ ধরে যারা ঘুমান, তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার অন্যদের তুলনায় ৩০-৫০% বেশি।

বিজ্ঞাপন
রোজ ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১. ডিপ্রেশন
বার বার স্লিপ প্যাটার্ন বা ঘুমের রুটিন বদল হলে ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ ঘুমালেও ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলো প্রকট হতে পারে।
২. ডায়াবেটিস
কম ঘুমালে যেমন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি বেশি ঘুমেও এই ভয় রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আসলে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে লাইফস্টাইলে নজর দিতেই হয়। কিন্তু বেশি ঘুমালে পুরোদস্তুর লাইফস্টাইল ঘেঁটে যায়। তখন সুগার লেভেলও ওঠানামা কমে।

৩. ফুসফুস ও হার্টের সমস্যা
রোজ ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে ফুসফুসের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়াও হার্টের সমস্যা, অটোইমিউন ডিজিজ, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
ঘুমের সমস্যা এড়ানোর উপায়
- স্লিপ হাইজিন মেনে চলুন।

- নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাতে যান।
- বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস ছাড়ুন।
- সন্ধ্যার পর চা-কফি এড়িয়ে চলুন এবং ডিনারে হালকা খাবার খান।
এনএম

