নানা কারণে নারীদের মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। তবে কেউ কেউ পিরিয়ডে সামান্য অনিয়ম (Irregular Periods) দেখলেই মনে করেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা।
তাদের মতে, অনেকসময় দৈনন্দিন জীবনের ছোটোখাটো অভ্যাসও জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। রোজকার কিছু ভুলে সাময়িকভাবে ওভিউলেশনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞাপন

যেসব কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে
১. মানসিক চাপ: কর্মক্ষেত্র কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের তীব্র মানসিক চাপ।
২. অসুস্থতা: জ্বর বা অন্য কোনো সংক্রমণ।
৩. ভ্রমণ: দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ বা জেট ল্যাগ।

৪. ওজন পরিবর্তন: খুব দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
৫. অতিরিক্ত ব্যায়াম: অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা।
৬. ঘুমের অভাব: ঘুমের রুটিনে বড়সড় অনিয়ম।
বিজ্ঞাপন

৭. পুষ্টির অভাব: শরীরে আয়রন, ভিটামিন ডি বা বি১২-এর ঘাটতি।
৮. ওষুধ: কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট)।
এই কারণগুলো মস্তিষ্কের সঙ্গে ওভারির সিগনালিং-এ বাধা দেয়। ফলে ডিম্বাণু নির্গমন বা ওভিউলেশন পিছিয়ে যায়। দ্রুত ওজন কমা বা অতিরিক্ত শরীরচর্চা শরীরকে জানান দেয় যে শক্তিস্তর স্থিতিশীল নয়। তখন শরীর নিজেকে রক্ষা করার জন্য পিরিয়ডের প্রক্রিয়াকে ধীর বা বন্ধ করে দেয়। ফলে দেরিতে পিরিয়ড হয় বা রক্তপাত কম হয়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
চিকিৎসকের মতে, যদি ঋতুচক্র ২-৩ মাসের বেশি অনিয়মিত হতে থাকে, পিরিয়ড ৪৫ থেকে ৬০ দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রক্তপাত খুব বেশি বা কম হলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। বেশিরভাগ অ-হরমোনজনিত সমস্যা জীবনযাত্রায় সংশোধন আনলে দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
এনএম

