সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে রোজকার ৩ অভ্যাস 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে রোজকার ৩ অভ্যাস 

হঠাৎ করে বুকে চিনচিনে ব্যথা। এরপরই দরদর করে ঘাম। সঙ্গে অস্বস্তি। এমন দমবন্ধ ভাব হয়েই আচমকা হয় হার্ট অ্যাটাক। এমন পরিস্থিতিতে অনেকসময় রোগীকে বাঁচানোর সময়ও পাওয়া যায় না। হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক আচমকা আঘাত হানে আর তছনছ করে দেয় জীবন। আর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে রোজকার কিছু অভ্যাসে। 

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা হৃদরোগ হওয়ার মূল তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এই তিন কারণের জন্য চল্লিশ পেরিয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।


বিজ্ঞাপন


smoking

অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান

অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস শরীরের নানা ক্ষতি করে। ধূমপানের কারণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে কমে যায় ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা। এই কারণে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ড আর মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। 

একইসঙ্গে রক্তনালিতে চর্বি, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ক্যালশিয়াম জমতে থাকে। যে কারণে রক্তনালির দেওয়াল পুরু হতে থাকে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।


বিজ্ঞাপন


sleep

কম ঘুম

ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়। অনেককেই বলতে শুনবেন, ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছে। বয়স্কদের এ সমস্যা বেশি হয়। তবে কমবয়সীরাও আজকার বাদ যাচ্ছে না। ঘুমের সময় হৃৎস্পন্দনের হার এমনিও কম থাকে। আচমকা যদি তা থেমে যায়, তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়।

চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হওয়া সাধারণ সমস্যা নয়। বরং একে বিরল বলা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’। যারা রাতের পর রাত জেগে কাটান, দৈনিক চার ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

no_sleep

অনিয়মিত ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা থাকলে, হৃদপেশির সঙ্কোচন এবং প্রসারণ অনিয়মিত হয়, ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলেও এই ঝুঁকি বেশি থাকে। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে ঘুমের সময় বারবার শ্বাসপ্রশ্বাস সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রতিবার অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ বাড়ে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।

রক্তে অধিক শর্করা

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে ধমনীর দেওয়ালের মধ্যে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থ জমতে থাকে। একে ‘প্লাক’ বলে। এর ফলে ধমনী সঙ্কীর্ণ হয়ে রক্তপ্রবাহকে বাধা দিতে পারে। এই ব্লকেজই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায়। 

food_1

খুব বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার, নরম পানীয়, দোকান থেকে কেনা এনার্জি ড্রিঙ্ক, কেক-পেস্ট্রি খেলে এর ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ফলের রস, হেলথ ড্রিঙ্কও নিরাপদ নয়। এগুলোও হার্টের ক্ষতি করে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর