দাঁত নিয়ে কম-বেশি সবার চিন্তা থাকলেও জিভ নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা থাকে না। নিয়ম করে সকলেই দাঁত মাজেন। কিন্তু জিভ পরিষ্কার করেন কজন? সুস্থ থাকতে কিন্তু জিভের যত্ন নেওয়া জরুরি।
চিকিৎসকদের মতে, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষায় দাঁত মাজা যতটা জরুরি, ততটাই প্রয়োজন জিভের ময়লা পরিষ্কার করা। নিয়মিত জিভ পরিষ্কার না করলে সবার প্রথমেই যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো মুখে দুর্গন্ধ।
বিজ্ঞাপন

কারণ, খাওয়ার সময় খাদ্যকণা শুধু দাঁতের ফাঁকে আটকায় না, জিভেও তার পরত পড়ে। আর তাতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে মুখে দুর্গন্ধ হবেই। গবেষণা বলছে, ৭০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মুখের দুর্গন্ধের নেপথ্যে থাকে মুখগহ্বরের অপরিচ্ছন্নতা, অপরিষ্কার জিভ।
এক মাস জিভ পরিষ্কার না করলে আর কী ঘটবে?
নিয়মিত জিভে খাদ্যকণা জমলে বা মুখগহ্বেরর স্বাস্থ্যরক্ষা না হলে তার প্রভাব পড়ে পেটেও। জিভ সাদা বা হলদেটে হয়ে যাওয়াও অসুস্থতার লক্ষণ। চিকিৎসকদের মতে, নিয়ম মেনে তা পরিষ্কার করা না হলে জিভের অংশ বিশেষের রং বদলে যেতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে স্বাদেও তফাৎ দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞাপন

স্বাদকোরক ময়লায় ঢেকে গেলে, আস্বাদনে সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তার চেয়ে বড় কথা, জিভের ময়লার জন্য ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়লে প্লাক তৈরি হতে পারে। এতে দাঁতের ফাঁকে, মাড়িতে প্লাকের পরত বা হলেদে ময়লা জমে যায়।
বিপদ কোথায়?
মুখগহ্বরের প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ জীবাণু তৈরি হয়। নিয়ম করে দাঁত মাজার পাশাপাশি জিভ পরিষ্কার না করা হলে এই ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে পারে। চিকিৎসকের মতে, জিভ পরিষ্কার না করলে এতে থাকা প্যাপিলাইয়ের আড়ালে অসংখ্য মৃত কোষ, খাদ্যকণা, জমতে পারে।

দীর্ঘদিন এমনটা চলতে থাকলে জিভে অণুজীব বাসা বাঁধতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু দাঁত ও মাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে। যা পেটে গেলে শরীরের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে। দাঁত নিয়ে অবহেলা এবং ব্রাশের দিকে নজর না দেওয়া বাড়িয়ে দিতে পারে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের ঝুঁকি। তাই সাধারণভাবে জিভ পরিষ্কার না করা ক্ষতিকর মনে না হলেও, তা কিন্তু বাড়াতে পারে সংক্রমণের ঝুঁকি।
জিভ পরিষ্কার করবেন কীভাবে?
বড় করে জিভ বের করে জিভছোলার সাহায্যে আলতো চাপে ময়লা বের করে দিন। বেশি ঘষাঘষি করবেন না। এরপর মুখ কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলতে হবে। অনেক ব্রাশের ওপর পাশে ডোরাকাটা থাকে। সেটি দিয়েও জিভ পরিষ্কার করতে পারেন। দিনে অন্তত একবার জিভ পরিষ্কার করা উচিত।
এনএম

