নানা কারণে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে হাড় ভাঙতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভাঙে হাত ও পায়ের হাড়। হাড় ভেঙে যাওয়ার চিকিৎসা হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। তাতে হাড় জোড়া না লাগলে বা ভাঙন বেশি জটিল হলে অপারেশন করা লাগে।
হাড় জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ আপনি কী খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে হাড় কত দ্রুত জোড়া লাগবে। এসময় খাদ্যতালিকায় এমন সব খাবার রাখা উচিত যা হাড়ের মেরামতকে উন্নীত করে এবং কঙ্কালের সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
বিজ্ঞাপন

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
শরীরের যেকোনো ক্ষত নিরাময়, ভাঙা হাড় মেরামত এবং পেশীকে শক্তি সমর্থন করার জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিনের ভালো কিছু উৎস হচ্ছে চর্বিহীন মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, বাদাম, বীজ এবং লেবু। খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
হাড়ের গঠন ও শক্তির জন্য ক্যালসিয়াম অত্যাবশ্যক। দুগ্ধজাত খাবার যেমন দুধ, দই, লাচ্ছি এবং পনির ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। যারা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু বা দুগ্ধজাত খাবার পেটে সহ্য হয় না তারা পালং শাক, বাদাম খেতে পারেন।

ভিটামিন ডি
এই পুষ্টি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড়ের খনিজকরণে সাহায্য করে। যদিও সূর্যের এক্সপোজারের মাধ্যমে শরীর ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে, তারপরও খাদ্যতালিকায় এমন খাবার রাখুন যাতে ভিটামিন ডি মেলে। মাছ, ডিমের কুসুম এই ভিটামিনের ভালো উৎস।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য
ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য, যা হাড়ের নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলা, মালটা), বেরি, কিউই, টমেটো ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস।

ভিটামিন কে
এই ভিটামিন হাড়ের প্রোটিনকে শক্তিশালী করে এবং ক্যালসিয়াম শোষণকে উন্নত করে। সবুজ শাক সবজি, ব্রাসেলস স্প্রাউট এবং ব্রোকলি ভিটামিন কে এর উৎস।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
কোলাজেন উৎপাদনে এবং হাড়ে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে আয়রন। এর ভালো উৎসের মধ্যে রয়েছে লাল মাংস, গাঢ় মাংসের মুরগি, তৈলাক্ত মাছ, ডিম।

জিঙ্কের উৎস
জিঙ্ক হাড়ের পুনর্জন্মকে উৎসাহিত করে। খাদ্যের মধ্যে রয়েছে মাংস, বীজ, লেবু, বাদাম এবং গোটা শস্য।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
পটাশিয়াম শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে। কলা, আলু, কমলা ও দুধ এর চমৎকার উৎস।

এসব পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখার মাধ্যমে হাড় জোড়া লাগার প্রক্রিয়াকে সহজ করা যায়। সেসঙ্গে দূরে থাকতে হবে লবণ, অ্যালকোহল ও প্রসেসড ফুড থেকে। কারণ এসব খাবার হাড় জোড়া লাগার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
এনএম

