রাতের খাবার খাওয়ার পরই কেন যেন মিষ্টি কিছু খেতে মন চায়। ফ্রিজে মিষ্টি না পেলে আইসক্রিম কিংবা মজাদার কোনো ডেজার্ট খাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ থাকতে চাইলে এই অভ্যাসে লাগাম টানতে হবে। রাতের বেলায় মিষ্টি খাবার খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কিন্তু তারপরও যদি মিষ্টি কিছুর জন্য মন আনচান করে?
এমন পরিস্থিতিতে বন্ধু হিসেবে বেছে নিতে পারেন এক টুকরো ডার্ক চকলেট। রাতে অল্প একটু ডার্ক চকলেট খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। উপরন্ত মেলে বাড়তি উপকারিতা। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন

১. সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে আছে ফ্ল্যাভনয়েডের মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমায়। রাতে বিশ্রাম নেওয়ার সময় এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টই আপনার কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এর জেরে রোগ বা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
২. মন ভালো থাকে
ডার্ক চকোলেট সেরোটোনিন ও এন্ড্রোফিনের মতো ‘ফিল-গুড’ হরমোনকে স্টিমুলেট করতে সাহায্য করে। তাই রাতের বেলায় ডার্ক চকোলেট খেলে মন-মেজাজ ভালো থাকে। এর জেরে মানসিক চাপ কমে এবং ভালো ঘুম হয়।

৩. ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়
ডার্ক চকোলেট খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আর ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। এছাড়া ডার্ক চকোলেটে আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাই রোজ রাতে এক টুকরো ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।
৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
ডার্ক চকোলেটে থাকা কোকো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া ডার্ক চকোলেটে আছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়। এর জেরে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। তাই শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে রোজকার পাতে ডার্ক চকলেট রাখতে পারেন।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে
রাতে এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মিষ্টি খাওয়ার সাধ পূরণ হয়ে যাবে। এরপর আর মিষ্টি খাওয়ার প্রতি ঝোঁক তৈরি হবে না। পাশাপাশি ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
রোজ কতটুকু ডার্ক চকলেট খাওয়া যাবে?
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ডার্ক চকলেট (৭০ শতাংশ বা তার বেশি কোকোযুক্ত) খাওয়া স্বাস্থ্যকর। তবে এর পরিমাণ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।
এনএম

