ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি ত্বককে নরম, মসৃণ আর উজ্জ্বল করে তোলে। কিন্তু কখনো কখনো ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পরও ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে থাকে। পুষ্টিবিদ ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ ত্বকের রহস্য কেবল বাহ্যিক যত্নের মধ্যেই নয় বরং ভেতরে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলোর মধ্যেও রয়েছে।
জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস এবং কিছু খাদ্যাভ্যাস ত্বককে শুষ্ক ও প্রাণহীন করে তুলতে পারে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরও আপনার ত্বক যদি শুষ্ক থাকে তাহলে তা কী কী সমস্যার কারণে হতে পারে জেনে নিন-
বিজ্ঞাপন

ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব (ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬)
সুস্থ ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬। এগুলো ত্বককে রক্ষা করতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে শক্তিশালী বাধা তৈরি করে। এসব উপাদানের অভাবে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায় এবং জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। চিয়া বীজ, আখরোট, তিসির বীজ এবং ঠান্ডা চাপযুক্ত তেলে এসব ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে।
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাব
ভিটামিন ডি-র অভাব হলে ত্বক শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে ওঠে। ভিটামিন এ এবং ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়াও জিঙ্ক কালো দাগ কমাতে এবং ত্বক মেরামত করতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় যদি এই পুষ্টির অভাব থাকে, তাহলে কোনো ময়েশ্চারাইজারই তাদের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে না।

ডিহাইড্রেশন ও দুর্বল ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য
শরীরের কোষে আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটও প্রয়োজনীয়। এগুলোর অভাব হলে ত্বক শুষ্কবোধ করতে পারে। ময়েশ্চারাইজার লাগালেও তখন ত্বক শুষ্ক থাকে।
হরমোন ও থাইরয়েডজনিত রোগ
থাইরয়েড সমস্যা, পেরিমেনোপজ অথবা ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রার পরিবর্তন হলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন কমাতে পারে। ফলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে, যা কেবল বাহ্যিক ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নিরাময় করা যায় না। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এসব সমস্যা শনাক্ত করা যায়।

অন্ত্র ও হজম স্বাস্থ্য
দুর্বল হজম, সিলিয়াক এবং আইবিএসের মতো রোগ শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না। এটি ত্বকের আর্দ্রতাকে প্রভাবিত করে। প্রোবায়োটিক গ্রহণ, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মতো বিষয়গুলো ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এনএম

