দিন যত যাচ্ছে গর্ভধারণের বিষয়টি যেন আরও জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল— এমন নানা বিষয় গর্ভধারণকে কঠিন করে তুলছে।
আজকাল অনেকেই প্রেগন্যান্সির প্ল্যান করার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। কেমন লাইফস্টাইল মেনে চললে দ্রুত গর্ভধারণ করা যাবে, কেমন ভাবে চললে গর্ভাবস্থায় কোনো সমস্যার মুখে পড়তে হবে না— এসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেন। আপনি কি গর্ভধারণের প্ল্যান করছেন? তাহলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এই ৫ খাবার-
বিজ্ঞাপন
ফাস্ট ফুড
পিসিওএস থাকলে ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকতেই হবে। আর প্রেগন্যান্সির প্ল্যান করলেও এসব খাবার খাওয়া যাবে না। পিৎজা, বার্গার, চাউমিন, রোলের মতো মুখরোচক খাবারগুলোতে রয়েছে ট্র্যান্স ফ্যাট যা পুরুষ-নারী উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এসব খাবার কেবল ওজন বাড়ায় না, নারীদের গর্ভধারণ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।
চিনি
সন্তান গ্রহণের চেষ্টা করলে চিনি থেকে দূরে থাকুন। চিনি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। পুরুষ বা নারী, যারই ডায়াবেটিস থাকুক, এর জেরে সন্তানধারণের সম্ভাবনা কমে যায়। তাই চিনি ছাড়ুন।

চা-কফি
পরুষ-নারী উভয়েরই চা-কফি পানের পরিমাণ কমাতে হবে। উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ করলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দিনে দুই কাপের বেশি চা-কফি পান করবেন না।
রেড মিট
সন্তান ধারণের প্ল্যান করতে চাইলে রেড মিট ও প্রসেসড মিটও এড়িয়ে চলতে হবে। প্রাণীজ খাবার বেশি খেলে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে ইনফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভধারণেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই গরু, খালি ও প্রক্রিয়াজাত মাংস যত কম খাবেন ততই ভালো।

কেক-পেস্ট্রি
কেক, ডোনাট, পেস্ট্রির মতো খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
গর্ভধারণের পরিকল্পনা করতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে এসব খাবার বাদ দিন। এর পরিবর্তে পাতে রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার।
এনএম

