সংসারের নানা দায়দায়িত্ব, অফিসের টানা কাজের চাপ, আর্থিক টানাপোড়েন, নানা শারীরিক জটিলতা। সবকিছু যখন একসঙ্গে জীবনে হানা দেয় তখন মন আর কিছুতেই ভালো থাকে না। আর মন খারাপ থাকলে কোনো কাজ করার এনার্জি থাকে না।
সুস্থ জীবনযাপন করতে মন ভালো রাখার বিকল্প নেই। কিন্তু অকারণেই যদি মুড অফ থাকে তাহলে কী করবেন? জেনে নিন মন ভালো করার কিছু উপায়-
বিজ্ঞাপন

মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিন
বাসা-অফিস-বাসা— রোজ একই ফ্রেমে চলছে জীবন? বদ্ধ পরিবেশ মনের অস্বস্তি আরও বাড়ায়। মনে হয় যেন জীবন নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতির সঙ্গে আর মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনটা হলে মাথার ভেতর নানারকম চিন্তা পুষে না রেখে বাড়ির বাইরে বের হোন। মুক্ত বাতাসে হাঁটাহাঁটি করুন। মন ভরে শ্বাস নিন। জগিং বা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে মন ফুরফুরা হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণেও মন খারাপ হয়। অ্যাংজাইটি, প্যানিক অ্যাটাক হলে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে স্বস্তি বোধ করবেন এবং আরাম পাবেন। এরপর মুক্ত বাতাসে জোরে জোরে শ্বাস নিন।

ঘরকে নতুন করে সাজান
ঘরের পরিবেশ মনের ওপর প্রভাব ফেলে। অগোছালো ঘর অনেকসময় মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সময় বের করে, নিজের ঘর, পড়ার ঘর পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে আসবাবপত্রের স্থান পরিবর্তন করুন। মন ভালো রাখতে বাড়ির অন্দরমহল একটু নতুন করে সাজান। ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পছন্দের গান শুনুন
মন ভালো করার দাওয়াই হতে পারে গান। তবে তাই বলে স্যাড সং শুনলে চলবে না। এমন গান শুনুন যা নিমেষে মন ভালো করে দেবে, বাড়াবে এনার্জি। প্রয়োজন ভালো সিরিজ বা সিনেমাও দেখতে পারেন। মন ভালো রাখতে গল্পের বইও পড়তে পারেন।

বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
মনের ভিতর কী চলছে, তা কাউকে শেয়ার করতে পারছেন না? কিংবা পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে লড়াই করবেন, বুঝতে পারছেন না? এমন পরিস্থিতিতে ডায়েরিতে নিজের মনের কথা লিখে রাখতে পারেন। কাছের মানুষ, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। এতে সমস্যার সমাধান না হলেও মন ভালো হয়ে যাবে।
এনএম

