শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে কি সাপ তাড়ানো যায়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম

শেয়ার করুন:

snake

গ্রামবাংলার অনেক জায়গায় আজও প্রচলিত আছে একটি বিশ্বাস কার্বলিক অ্যাসিড সাপ তাড়াতে পারে। অনেকেই বাড়ির আশপাশে কিংবা মাঠে এই অ্যাসিড ছিটিয়ে দেন সাপের ভয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতটা আছে? এটি আদৌ কার্যকর ও নিরাপদ কিনা? চলুন, জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

কী এই কার্বলিক অ্যাসিড?

কার্বলিক অ্যাসিড, যাকে ফিনল (Phenol) নামেও ডাকা হয়, এটি একটি রাসায়নিক যৌগ যা জীবাণুনাশক ও দুর্গন্ধ দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়। একসময় হাসপাতাল, স্কুল, গণশৌচাগারে দুর্গন্ধ দূর করতে এর ব্যাপক ব্যবহার ছিল।

acid

সাপ তাড়ানোর ধারণা কোথা থেকে এল?

অনেকের ধারণা, কার্বলিক অ্যাসিডের তীব্র গন্ধ সাপের ঘ্রাণশক্তিকে বিভ্রান্ত করে। সাপের ঘ্রাণ নেওয়ার অঙ্গ 'জ্যাকবসন অর্গান' খুব সংবেদনশীল। ফলে তীব্র গন্ধে সাপ নাকি পথ হারিয়ে ফেলে কিংবা ঐ এলাকা এড়িয়ে চলে।


বিজ্ঞাপন


এ ধারণা থেকেই অনেকে সাপের আশঙ্কায় কার্বলিক অ্যাসিড ছিটান।

acid_pic

কিন্তু সত্যিটা কী?

বিভিন্ন জীববিজ্ঞানী ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে—

কার্বলিক অ্যাসিড সাপ তাড়াতে সাময়িকভাবে কিছুটা কাজ করতে পারে, কিন্তু এটি নিশ্চিত বা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।

সাপ যে কোনো রাসায়নিক গন্ধ এড়িয়ে চলবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। বিশেষ করে যদি সেখানে খাবার বা আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

িএসিড

স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকি

কার্বলিক অ্যাসিড একটি বিষাক্ত ও ক্ষতিকর রাসায়নিক। এটি:

ত্বকে লাগলে পোড়া বা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে

শিশু বা গৃহপালিত প্রাণীর জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে

মাটি ও পানি দূষণ করে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে

তাই এভাবে খোলা জায়গায় ছিটানো স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

তাহলে কী করবেন?

সাপ তাড়াতে নিরাপদ কিছু পদ্ধতি হলো:

বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা

ইঁদুর বা সাপের খাবারদ্রব্য দূরে রাখা

লেবু, ন্যাপথলিন, বা সরষের তেল ব্যবহার করা

প্রয়োজনে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের সহায়তা নেওয়া

আরও পড়ুন: আসছে বর্ষা, সাপ নিয়ে যা জানা জরুরি 

কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে সাপ তাড়ানো একটি প্রচলিত কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতি। এটি সাময়িকভাবে গন্ধের কারণে কাজ করতে পারে, তবে নিশ্চিত সমাধান নয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই সচেতনতা ও নিরাপদ পদ্ধতির দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর