যে মানুষটার প্রতিদিনের পরিশ্রমে আমাদের ভালো রাখার গল্প লেখা হয়, সেই মানুষটা হয়তো বাবা। আর মা তার সহযোগী। সবসময় মনে হতো, বাবা মানে ভয় দিয়ে মোড়ানো একটা বাসা। শাসনের বেড়াজালে ছেলেরা বাবাকেই হয়তো সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকেই বাবা সবচেয়ে বেশি তদারকি করতেন। হাজারো ব্যস্ততা আর ক্লান্ত শরীর নিয়ে দিনশেষে বাসায় এসেও কখনো যেন তদারকি করতে ভুলতেন না। আমার পড়ালেখা কেমন হচ্ছে বা কেমন করছি তা জানতে চেষ্টা করতেন। বাবার প্রতি ভয় কাজ করাটা হয়তো এখান থেকেই শুরু।
বিজ্ঞাপন
পরিবারের সবার মুখে শোনা সেই ছোটবেলায় বাবার কোলে পিঠে চড়ে চারপাশের পরিবেশ দেখা আর বাবার আঙুল ধরে হাঁটার স্মৃতিগুলো আমাকে বারবার ফেলে আসা দিনগুলোতে নিয়ে যেতে চায়। তাইতো ছেলেরা বাবা হয়, কিন্তু বাবারা কখনো ছেলে হয় না।
ছাতা হয়ে যে মানুষটা আমাদের আগলে রাখে তার কথা মনে করার জন্য কেবল একটা দিন যথেষ্ট নয় বরং প্রতিটা দিনই বাবা দিবস। আমরা যারা পড়াশোনার ক্ষেত্রে পরিবার থেকে দূরে অবস্থান করছি, আমরাই হয়তো সবচেয়ে বেশি এই জিনিটা ফিল করি। হাজারো ক্লান্তি শেষে মুখে খুব বেশি কিছু হয়তো বলা হয়ে ওঠে না, তবে বাবার চোখের পাতায় আর ক্লান্ত হাসিতে আমি যেন সব কথা বুঝে যাই।
সন্তানদের জন্য বাবার এই আত্মত্যাগ,নিরলস পরিশ্রম আর নিঃশব্দ ভালোবাসা আমাদের প্রতিদিন শক্তি যোগায়। মুখ ফুটে হয়তো কখনো বলা হয়ে উঠবে না ঠিক কতটা ভালোবাসি বাবা। তবে তোমার সেই ছোট্ট অর্ণব তোমায় অনেক ভালোবাসে।
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী জেমসের গানের লাইন দিয়ে যদি শেষ করি-
ছেলে আমার বড় হবে,মাকে বলত সে কথা।
হবে মানুষের মত মানুষ,এক লেখা ইতিহাসের পাতায়।
এমন গানের প্রতিটা লাইনের মতোই আমার/আমাদের বাবারা স্বপ্ন দেখে একদিন তার সন্তান ইতিহাস সমান কিছু হবে।বিশ্ব বাবা দিবসের শুভেচ্ছা নিও। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা।
লেখক: শিক্ষার্থী,সংগঠক ও সমাজকর্মী

