শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাস্তব জীবনের সুপারহিরো ‘বাবা’

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২, ০৮:২৮ এএম

শেয়ার করুন:

বাস্তব জীবনের সুপারহিরো ‘বাবা’

গল্পে কিংবা সিনেমায় যে সুপারহিরোদের দেখা মেলে, বাস্তবে তাদের অস্তিত্ব নেই। তবে বাস্তব জীবনে প্রতিটি মানুষ একজন সুপারহিরোর দেখা পান, যিনি হলেন বাবা। জন্মদাতা পিতাকে অনেকে আব্বু, আব্বা বলেও ডাকেন। বাবাদের ভালোবাসতে আলাদা কোনো দিনের প্রয়োজন না হলেও বছরের একটি বিশেষ দিন বরাদ্ধ রাখা হয়েছে কেবল তাদের সম্মানে। প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হয়। এ বছর ১৯ জুন পালিত হচ্ছে দিবসটি।

বাবা মানে মাথার ওপর ছায়া দেওয়া এক বটবৃক্ষের নাম। সব ঝড়-ঝাপটা যে বৃক্ষ নিজে মাথা পেতে নেয়। সন্তানকে একটু ভালো অবস্থানে রাখতে যিনি প্রতিনিয়ত সয়ে যান সব দুঃখ কষ্ট। বাবাদের কাঁধ বোধহয় অনেকখানি চওড়া হয়। নাহয় তাতে সংসারের বোঝা কী করে বহন করেন তিনি? 


বিজ্ঞাপন


fatherকিছুটা ভারী স্বভাবের বাবাকে অনেক সন্তানই ভয় পান। কিন্তু সেই ভারত্বের আড়ালে উঁকি দিলেই দেখা যায় ত্যাগের পাহাড়। নিজের কষ্টের কথা সন্তান থেকে আড়াল করে রাখেন তিনি। তাই হয়তো অদৃশ্য দেয়ালে ঢাকা পড়ে বাবার ভালোবাসার গভীরতা। 

বাবা দিবস পালনের ইতিহাসটা বেশ পুরনো। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে এটি শুরু হয়। মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল- এটা বোঝানোর জন্যই দিবসটি সূচনা। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।

fatherইতিহাস অনুযায়ী, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্ট এলাকার এক গির্জায় প্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয়। আবার, সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের ভাবনা আসে ১৯০৯ সালে। ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না তিনি। ডডের এই ভাবনার জন্ম হয় গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে। সেই পুরোহিত মাকে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। ডড আবার তার বাবাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। তার কাছে মনে হলো, বাবাদের জন্যও কিছু করা দরকার। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।

তবে এই দিবস নিয়ে মানুষ মোটেও উৎসাহিত ছিলেন না। বরং তাদের কাছে বিষয়টি ছিল হাস্যকর। ধীরে ধীরে অবস্থা বদলায়। ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। এরপর ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে বর্তমানে বিশ্বের ৫২টি দেশে বাবা দিবস পালিত হয়ে আসছে। 


বিজ্ঞাপন


fatherবাবাদের পছন্দের কথা জানা মুশকিল। কয়েকটি মাত্র পোশাকে তারা বছরের পর বছর পার করে দেন কোনো অনুশোচনা ছাড়া। নিজের প্রিয় খাবার কী, তা হয়তো ভুলে যান। কিন্তু সন্তানের প্রিয় পোশাক, খাবার কিংবা প্রয়োজন- সবটা থাকে নখদর্পণে। সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবার ভূমিকা অতুলনীয় হলেও তা পড়ে থাকে এক পাশে। 

আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার আধার হলেন বাবা। সন্তানের উচিত তাকে সবসময় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা করা। জীবনের প্রথম সুপারহিরো যেন শেষ সময়ে এসেও সুপার থাকেন তা নিশ্চিত করাই সন্তানের কর্তব্য। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর