বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ঢাকা

একদিন চিনি আর ময়দা থেকে দূরে থাকলে শরীরে কী ঘটবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

একদিন চিনি আর ময়দা থেকে দূরে থাকলে শরীরে কী ঘটবে?

মাত্র এক দিন। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা। এই সময়ের জন্য চিনি আর ময়দা খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিন। চা-কফিতে চিনি মেশানো যাবে না। ময়দার তৈরি কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। একদিন চিনি আর ময়দা থেকে পুরোপুরি দূরে থাকলে শরীরে যা ঘটবে তাতে রীতিমত চমকে যাবেন আপনি। 

পুষ্টিবিদদের মতে, এক মাসের জন্য চিনি খাওয়া বন্ধ করলে শরীরে অনেক উপকার হবে। তবে হঠাৎ করে চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। বরং মদ, সিগারেট, চায়ের মতো চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। তাই পুরো প্রক্রিয়াটি করতে হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে ২৪ ঘণ্টা করে চিনি আর ময়দা ছাড়া থাকার অভ্যাস করুন।


বিজ্ঞাপন


no_suggar

একদিন চিনি ও ময়দা থেকে দূরে থাকলে শরীরে যা ঘটবে: 

১. রক্তে শর্করা কমবে: 

চিনি বা ময়দা ছাড়া থাকতে হবে মানে মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে। কেক, পেস্ট্রি, চিনি দেওয়া শরবত, প্যাকেটবন্দি ফলের রস, বিস্কুট, কুকিজ, বার্গার এসব খাবারও খাওয়া যাবে না। আর এসব খাবার না খেলে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।


বিজ্ঞাপন


২. শরীরে অতিরিক্ত পানি জমবে না

চিনি বা ময়দা দেওয়া খাবার না খেলে শরীরে অতিরিক্ত পানিও জমবে না। সাধারণত গ্লুকোজ যখন গ্লাইকোজেন রূপে লিভার ও পেশিতে জমা হয়, তখন প্রতি গ্রাম গ্লাইকোজেনের সঙ্গে ৩-৪ গ্রাম পানিও জমা হয়। ২৪ ঘণ্টা চিনি না খেলে, এই পানি জমার পরিমাণও কমবে। ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বেরিয়ে যাবে। এতে কমবে পেট ফাঁপা, ফেট ফোলা, অম্বলের সমস্যা। 

sugar1

৩. সুগার ক্রেভিং কমবে

টানা ২৪ ঘণ্টা চিনি আর ময়দা থেকে দূরে থাকলে সর্বক্ষণ খিদে পাওয়া বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমবে। প্রতিদিন বেশি পরিমাণ মিষ্টি জাতীয় খাবার ও কার্বোহাইড্রেট খেলে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে আরও কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ইচ্ছা হয়। মিষ্টি কিছু না খাওয়া অব্দি স্বস্তি মেলে না। মিষ্টি জাতীয় খাওয়া বন্ধ করলে এই ইচ্ছা ধীরে ধীরে চলে যাবে। 

৪. প্রদাহ কমবে

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কমে যায় প্রদাহ। বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চিনি খাওয়া বন্ধ করলে এই ঝুঁকি কমবে। 

food

৫. কাজে উৎসাহ আসবে

২৪ ঘণ্টা চিনি আর ময়দা ছাড়া থাকলে ডোপামিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এতে মনমেজাজ ভালো থাকবে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, নরএপিনেফ্রিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারগুলো মানসিক স্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসবের অভাবে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বাড়ে, কাজে উৎসাহ চলে যায়। সঙ্গে দেখা দেয় অবসাদ। 

অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলির ক্ষরণ কমতে থাকে। তাই মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করলেই দেখবেন, কর্মক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। শরীর ও মন হবে সতেজ। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর