সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের কারণে বাড়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের কারণে বাড়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি

অনিয়মিত পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন অনেক নারীই। এর পেছনে নানা কারণ থাকে। আজকাল নারীরা বেশি বয়সে সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন। ফলে তারা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। 

৩৫ বছরের পর বা চল্লিশে পৌঁছানোর পর মা হতে গিয়ে বেশিরভাগ নারী যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা হলো জরায়ুতে টিউমার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই টিউমার বিনাইন অর্থাৎ ক্যানসারের কারণ হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই টিউমারের কারণেই বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে। দেখা দিতে পারে গর্ভপাতের সমস্যা। 


বিজ্ঞাপন


fibroid2

চিকিৎসার পরিভাষায় জরায়ুর বিনাইন টিউমারকে ফাইব্রয়েড বলা হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নারীদের দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এই ফাইব্রয়েড হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।

ফাইব্রয়েড কী: 

জরায়ুর ভেতরের দেওয়ালে বা বাইরের দিকে টিউমার তৈরি হয়। জরায়ু কোষের অনিয়মিত বিভাজন হতে থাকলে তা টিউমারে পরিণত হয়। এর আকার ছোট হতে পারে আবার বেড়ে আয়তনে বড়ও হতে পারে। এই টিউমারকে ফাইব্রয়েড বলা হয়।


বিজ্ঞাপন


fibroid3

সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছরের নারীদের মধ্যে ফাইব্রয়েডের সমস্যা বেশি দেখা যায়। জরায়ুর কোন জায়গায় টিউমার তৈরি হচ্ছে, সেই অনুযায়ী ফাইব্রয়েডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়— 

১. সাবমিউকোসাল ফাইব্রয়েড (জরায়ুর ভেতর দিকে বা ইউটেরাইন ক্যাভিটিতে হয়) 
২. ইনট্রামিউরাল (জরায়ুর ভেতরের দেওয়ালে তৈরি হয়) 
৩. সাবসেরোজাল (জরায়ুর বাইরের দিকে হয়) 

fibroid4

ফাইব্রয়েডের লক্ষণ: 

ফাইব্রয়েডের কিছু লক্ষণ হলো- 

  • তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা
  • পেট ফুলে যাওয়া
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
  • পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া
  • পিরিয়ড চলাকালীন পেটে যন্ত্রণা হওয়ার 

অনেক ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েডের কোনো উপসর্গ আগে থেকে বোঝা যায় না। সন্তানধারণের সময়ে সমস্যা দেখা দিতে থাকে। তখন গর্ভপাত হতে পারে। 

fibroid5

ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে ফাইব্রয়েডের সম্পর্ক: 

ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ভিটামিন ডি যে কেবল হাড়ের গঠন মজবুত করে তা নয়, এর আরও অনেক কাজ রয়েছে। যার একটি হলো কোষের গঠন ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা। 

ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ করলে কোষের অনিয়মিত বিভাজন হতে পারে না। টিউমার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনও থামিয়ে দিতে পারে ভিটামিন ডি। বিশেষ করে জরায়ুর কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এই ভিটামিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

fibroid6

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি হলে জরায়ু কোষের বিভাজন অনিয়মিত হয়ে যাবে। তখন টিউমার তৈরি হতে শুরু করে। সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডের অন্যতম কারণ হলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি।

গবেষকদের দাবি, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেলে জরায়ুতে টিউমারের আশঙ্কা কমে। তবে রোজকার খাওয়াদাওয়ায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারলেই ভালো। এতে পিরিয়ডজনিত সমস্যাগুলোও থাকে না। দুধ, দই, মাছ, ডিম, ঘি, মাশরুম ইত্যাদি ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। আরও খেতে পারেন নানা রকম বাদাম ও বীজ। 

এনএম 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর