আমি মাহিম, সিলেট বিভাগের এক সবুজে ঘেরা অজপাড়া গাঁ ফটিগুলির সন্তান। আমার জীবনের শুরু হয়েছিল কাদামাটির সেই পথ বেয়ে, ধুলোমাখা শৈশবের এক নির্লিপ্ত গ্রামে। আর সেই শৈশবের আকাশজুড়ে যে আলো লেগে থাকত, সে আলোয় ঝিকিমিকি করত আমার মা।
আমার মা এক অলিখিত কবিতা, যার প্রতিটি ছন্দে ছিল নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। ছোট্ট আমি যখন মাটির খেলনায় ব্যস্ত থাকতাম, তখন মা ব্যস্ত থাকতেন আমার ছোট-ছোট আবদারগুলো পূরণে। প্রতিটি চাওয়া, প্রতিটি বায়না, তার হাতে যেন হয়ে উঠত পূজার মতো পবিত্র।
বিজ্ঞাপন
মা শুধু মায়ের ভূমিকায় ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন নিঃশব্দ যোদ্ধা। ঘরের হাল, বাহিরের চাপ সবই নিজের হাতে সামলে নিয়েছেন অনায়াসে। যেন কোনো ক্লান্তিই তার পা ছুঁতে পারে না।
২০১৯ সাল। আমাদের জীবনে নেমে এলো গভীর এক শোকের সন্ধ্যা। হারালাম বাবাকে। কিন্তু মা সেই আঁধারেও আলো জ্বালালেন। কাঁপা হাতে নয়, দৃপ্ত পায়ে আমাকে সাহস দিলেন, বললেন “থেমে যেয়ো না, আমি আছি।”
বিজ্ঞাপন
মায়ের ভালো থাকা মানেই আমার পৃথিবীটা ঠিকঠাকভাবে ঘোরে। তার হাসিটা আমার সূর্যোদয়, তার দোয়াগুলো আমার সবচেয়ে বড় ঢাল।
এই মা দিবসে আমি কৃতজ্ঞ হয়ে স্মরণ করি আমার জীবনের সবচেয়ে আপন মানুষটিকে আমার মা।
লেখক: শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী
এনএম