হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী এক শ্বাসযন্ত্রের রোগের নাম। এই সমস্যা থাকলে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় এই রোগে। প্রতিবছর ৬ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক হাঁপানি দিবস।
হাঁপানি রোগের লক্ষণ কী? কীভাবে এটি থেকে রক্ষা পাবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিজ্ঞাপন

হাঁপানির রোগের লক্ষণ
শ্বাসকষ্ট- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। বিশেষ করে রাতে বা সকালে।
শ্বাসের সঙ্গে শব্দ- শ্বাস নেওয়ার সময় বা ছাড়ার সময় শিস দেওয়ার শব্দ হওয়া।
বুকে টান অনুভব করা- বুকের উপর ভারী কিছু চাপানো আছে এমন অনুভূতি হওয়া।

কাশি- অতিরিক্ত কাশি হওয়া। বিশেষ করে রাতে কিংবা ঠান্ডা বাতাস, ধুলো বা ব্যায়ামের সংস্পর্শে আসার পরে বেড়ে যাওয়া।
ক্লান্তি- ঠিকমতো শ্বাস নিতে না পারার ফলে ক্লান্ত লাগা (শরীরে অক্সিজেনের অভাবে এমনটা হয়)
বিজ্ঞাপন
হাঁপানি থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
হাঁপানির কোনো নিরাময় নেই। তবে কিছু সতর্কতা ও ওষুধের সাহায্যে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। আসুন জেনে নিই কীভাবে-

ধুলো, ধোঁয়া এবং অ্যালার্জিক জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
ঘর পরিষ্কার রাখুন, কার্পেট এবং ভারী পর্দার জিনিস এড়িয়ে চলুন।
বাইরে বের হলে মাস্ক পরুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করুন।
ভিটামিন সি এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
যোগব্যায়াম, হাঁটা এবং সাঁতারের মতো হালকা ব্যায়াম করুন। এগুলো ফুসফুসকে শক্তিশালী করে। তবে, ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ধ্যান করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনহেলার ব্যবহার করুন।

হাঁপানি একটি গুরুতর রোগ। তবে সঠিক যত্ন আর ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। হাঁপানির ট্রিগার এড়িয়ে চলুন, নিয়মিত চেক-আপ করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করুন। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চললে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এনএম

