বয়সের ত্রিশ পার হয়নি অথচ চুলে ধরেছে পাক। পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে বন্ধুমহলে হাসির পাত্র হতে হয়। কেবল চুল সাদা হয়ে যাওয়া নয়। খুশকি, চুল পড়া, চুলের রুক্ষতাসহ নানা সমস্যায় ভোগেন নারী-পুরুষ উভয়েই। জানেন কী, এই সবগুলো সমস্যার সমাধান রয়েছে একটি সাধারণ পাতায়। কারি পাতা ব্যবহারে চুল কালো থেকে শুরু করে সব সমস্যা দূর করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নিই।
কেন কারি পাতা উপকারি?
বিজ্ঞাপন
কারি পাতাতে রয়েছে প্রোটিন ও বিটা ক্যারোটিন। এই দুইটি উপাদান চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর কারি পাতা। ফলে এটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, খুশকি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কীভাবে চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার করবেন?
হেয়ার টনিক
একটি পাত্রে নারিকেল তেল দিয়ে তাতে এক মুঠ কারি পাতা দিয়ে দিন। চুলায় বসিয়ে পাতাগুলো পুড়ে যাওয়া পর্যন্ত ফোটাতে থাকুন। এরপর এই মিশ্রণ ভালো করে ছেঁকে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করুন। ঘণ্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই বার এই মিশ্রণ চুলে লাগান। এতে চুল দ্রুত বাড়বে। চুল পেকে যাওয়ার হার কমাতেও দারুণ কাজ করেন এটি।
হেয়ার মাস্ক
বিজ্ঞাপন
কারি পাতা বেটে পেস্ট করে নিন। এর সঙ্গে মেশান টক দই। এই হেয়ার মাস্ক মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন কারি পাতার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের ঘনত্ব বাড়বে। হারানো জেল্লাও ফিরবে। দইয়ের পরিবর্তে এই প্যাকে পেঁয়াজের রসও ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।
কারি পাতার চা
চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কারি পাতার চা পান করুন। পানিতে কয়েকটি কারি পাতা দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এতে যোগ করুন লেবুর রস আর মধু। টানা এক সপ্তাহ এই চা পান করলে চুলের স্বাস্থ্য তো ভালো হবেই, হজম ক্ষমতারও উন্নতি হবে। একই সঙ্গে চুল পাকার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
রান্নায় কারি পাতা তো অনেক ব্যবহার করেছেন। এবার চুলের যত্নেও এই পাতা ব্যবহার করে দেখুন।
এনএম