দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। জীবনের সব ব্যস্ততাকে একপাশে রেখে প্রিয়জন আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করতে ঢাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। ছুটে চলছেন নাড়ীর টানে। যাত্রাপথে যতটা কষ্ট থাকুক না কেন, দিনশেষে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যাবে কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে। এই হলো উদ্দেশ্য।
প্রতিবছর ঈদযাত্রায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই ঈদে যারা বাড়ি যাবেন তাদের সতর্ক থাকা জরুরি। নয়তো বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার দীর্ঘ যাত্রায় অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন। তাহলে ঈদের আনন্দ পুরোটাই মাটি হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
ঈদযাত্রা আরামের আর স্বস্তিদায়ক করতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
ব্যাগ গোছান বুঝেশুনে
ভ্রমণের সময় আর কতদিন থাকবেন সেই বিবেচনা করে ব্যাগ গোছান। অতিরিক্ত পোশাক দিয়ে ব্যাগ বোঝাই করবেন না। কারণ ভারী ব্যাগ বহন করা যাত্রাপথে ভোগান্তি বাড়ায়। জরুরি জিনিসগুলো হাতের কাছে রাখুন। যাত্রাসঙ্গী শিশু বা বয়স্ক কেউ হলে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মনে করে ব্যাগে ভরুন।
বিজ্ঞাপন
আরামদায়ক পোশাক পরুন
আবহাওয়া অফিস বলছে আগামী কয়েকদিন ভোগাবে গরম। এমন পরিস্থিতিতে ভ্রমণে হালকা, আরামদায়ক পোশাক পরা উচিত। এমন পোশাক পরুন যাতে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। এক্ষেত্রে সুতি বা লিলেনের পোশাক সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। নরম জুতা বা স্যান্ডেল পরুন। নারীরা হাইহিল না পরে ফ্ল্যাট জুতা পরুন। যাত্রাপথে আরাম পাবেন।
পথে যদি ইফতার বা সাহরি করতে হয়
দীর্ঘ যাত্রায় পথেই ইফতার বা সাহরি করতে হতে পারে। তাই গন্তব্যস্থল দূরে হলে সঙ্গে রাখুন ঘরে তৈরি খাবার এবং পানির বোতল। বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে পানিবাহিত নানা রোগের আশঙ্কা থাকে। ফল, রুটিজাতীয় খাবার সঙ্গে রাখুন। সঙ্গে শিশু থাকলে তার জন্য ঘরে রান্না করা খাবার নিয়ে নিন। যাত্রাপথে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন।
প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন সঙ্গে
ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখুন অতি জরুরি ও প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ এবং ফার্স্ট এইড বক্স। কারণ চলতি পথে ওষুধ নাও পেতে পারেন। হ্যান্ড ব্যাগে রাখুন প্যারাসিটামল, বমির ওষুধ, গ্যাসের ওষুধ, ডায়রিয়ার জন্য ওরাল স্যালাইন ইত্যাদি। এছাড়া তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ, স্যাভলন ইত্যাদিও সঙ্গে রাখুন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে পারবেন।
শিশুদের খেয়াল রাখুন
ট্রেন, বাস কিংবা লঞ্চ— যেই বাহনেই ভ্রমণ করুন না কেন, শিশুদের বেশি সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে। বাইরের পানীয় ও খাবার একদমই দেবেন না। এসব খাবার খেয়ে শিশুরা বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। খেয়াল রাখবেন, শিশু যেন জানালা দিয়ে হাত বাইরে না রাখে।
এছাড়াও ঈদের সময় যাত্রাপথে মলম পার্টি, ছিনতাইকারীদের আনাগোনা বেশি থাকে। সেসঙ্গে এবার ডাকাতির শঙ্কাও রয়েছে। তাই সতর্ক থাকুন। অপরিচিত কারো দেওয়া খাবার বা পানীয় খাবেন না। বিপদ এলে মাথা ঠান্ডা রেখে মোকাবিলা করুন।
এনএম