ধীরে ধীরে বাড়ছে গরম। সেসঙ্গে বাড়ছে শারীরিক অস্বস্তিও। বাইরে বের হলেও দরদর করে ঘামছে শরীর। ভিজে চুপচুপে হয়ে যাচ্ছে পোশাক। চিকিৎসকদের মতে, ঘাম হওয়া ভালো। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। তবে শরীরের চাপা অংশে ঘাম জমলে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
ঘামের সঙ্গে ত্বকের যে সমস্যাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা হলো ঘামাচি। চিকিৎসার পরিভাষায় একে মিলিয়ারিয়া বলা হয়। গরমে ঘাম আর ঘামাচি দুটোরই ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এখন থেকে সচেতন হওয়া জরুরি।
বিজ্ঞাপন
ঘামাচি হয় কেন?
ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, ঘাম থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই পুরু করে পাউডার ব্যবহার করেন। এতে সাময়িকভাবে ঘাম কমানো গেলেও আদতে সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ পাউডার ব্যবহারে ঘামাচিসহ ত্বকের অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যে গ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়, পাউডার ব্যবহারে ময়লা জমে সেই মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘাম বাইরে বের হতে পারে না। ঘর্ম গ্রন্থির মধ্যে ঘাম জমতে শুরু করে। পরবর্তীতে তা ঘামাচি হয়ে বেরিয়ে আসে।
আরও পড়ুন- ঘামাচি হলে করণীয়
প্রাথমিকভাবে নজর না নিলে পরবর্তীতে এই সমস্যা আরও বাড়ে। অতিরিক্ত ঘামাচি থেকে সংক্রমণ হয়ে অস্বস্তিকর চুলকানি শুরু হয়। তাই ঘামাচি তাড়ানোর উপায় জেনে রাখুন আগে থেকেই।
নিয়মিত গোসল করুন
যত দেরিই হোক, বাড়ি ফিরে রোজ গোসল করে নিন। শরীরে ঘাম জমতে দিলেই সমস্যা। ঘাম বসেই ঘামাচির জন্ম হয়।
সঙ্গে রাখুন সুতি তোয়ালে
বাড়ির বাইরে থাকলেও ঘাম বসতে দেওয়া চলবে না। খুব বেশি ঘেমে গেলে ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে বার বার মুখ, গলা, ঘাড়, হাত-পা মুছে নিন। এজন্য সঙ্গে সুতির তোয়ালে বা কাপড় রাখুন।
রোদ এড়িয়ে চলুন
ত্বক শরীরের অতি স্পর্শকাতর অংশ। তাই বেশিক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরি করলে ঘামাচি হতে পারে। ঘামাচি থেকে বাঁচতে যত কম রোদে বের হবেন, ততই ভালো।
আরও পড়ুন- বগলের পরিচ্ছন্নতা জরুরি
সুতি পোশাক পরুন
গরমে ঘামাচি এড়াতে সুতির পোশাক পরুন। সুতির কাপড়ের মধ্যে দিয়ে বায়ু চলাচল বেশি করে। তাই গরমে যে ঘাম হয়, তা সহজেই শুষে নেয় সুতির পোশাক। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে।
হালকা রঙের পোশাক পরুন
গরমে হালকা রঙের পোশাক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ গাঢ় রঙের পোশাক পরলে শরীরে তাপের প্রভাব বেশি পড়ে।
সুগন্ধি কম ব্যবহার করুন
গরমে অনেকেই নানা সুগন্ধি ব্যবহার করেন। এসব প্রসাধনী ঘামাচির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ট্যালকম পাউডারের মতো সুগন্ধিও ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে ঘামাচির সমস্যা বেড়ে যায়।
এনএম