সকালে ঘুম থেকে উঠে কেউ কেউ টয়লেটে গিয়ে যেন আর বের হতেই চান না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এমনটা হয়। এই সমস্যা যার আছে সেই বোঝে কষ্ট। রোজকার জীবনের কিছু বদ অভ্যাস এবং ভুল খাদ্যাভ্যাস এর জন্য দায়ী।
কিছু সবজি রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। চলুন এসব সবজি সম্পর্কে জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

ফুলকপি
হজম শক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ফুলকপি। এতে রয়েছে ফাইবার ও ভিটামিন সি, যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। তরকারি কিংবা আচার হিসেবে ফুলকপি খেতে পারেন।
পালং শাক
বিজ্ঞাপন
ফাইবারের ভালো উৎস পালং শাক। এটি হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে শক্তি জোগায়। রোজকার পাতে এই শাক রাখুন। স্যুপ কিংবা তরকারি যেভাবেই খান, উপকার মিলবে।

ব্রকোলি
ব্রকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। সবুজ এই সবজিটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তরকারি, স্টিম করে বা সালাদে ব্রকোলি খাওয়া যেতে পারে।
সবুজ মটরশুঁটি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ কার্যকর সবুজ মটরশুঁটি। এতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে, যা অন্ত্রকে সক্রিয় রাখে। সেদ্ধ করে বা তরকারিতে সবুজ মটরশুঁটি খেতে পারেন।

গরম পানি ও হার্বাল চা
গরম পানি ও হার্বাল চা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এগুলো অন্ত্রকে শিথিল করে হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। সকালে খালি পেটে বা রাতে শোবার আগে এমন পানীয় পান করতে পারেন। এতেই দূর হবে পেটের গ্যাস। মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে।
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলো অন্ত্রের কার্যকলাপ বাড়িয়ে হজমশক্তিকে উন্নত করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকবে।

