মাছের সঙ্গে বাঙালির অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। আর তাইতো বলা হয়- মাছে ভাতে বাঙালি। ভাজা, ভুনা, তরকারি অনেকভাবেই মাছ খাওয়া হয়। একেক মাছের একেক স্বাদ। আর এই স্বাদেই বুঁদ হয়ে থাকেন সবাই।
মাছ যতই প্রিয় হোক, এর আঁশ সবার কাছেই বিরক্তিকর। মাছওয়ালাকে তাই মাছ কাটার সময় যত্ন করে মাছের আঁশ ছাড়াতে বলা হয়। কোনো কারণেও যদি পাতে মাছের আঁশ পাওয়া যায় তাহলে ঘেন্না করে দ্রুত তা ফেলে দেন। কিন্তু এই আঁশ যতই অপছন্দ করেন না কেন, এর নাকি অনেক গুণ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাছের আঁশেই নাকি লুকিয়ে আছে যৌবন ধরে রাখার রহস্য। বিদেশে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয় এই আঁশ। এর উপাদানটির এমন সব উপকারিতা আছে যা ভাবাই যায় না।
জানা গেছে, মাছের আঁশে রয়েছে কোলাজেন। এই প্রোটিনেই থাকে যৌবন ধরে রাখার মন্ত্র। ১০ কেজি মাছের আঁশ শুকিয়ে পাওয়া যায় চার কেজি শুকনো আঁশ।

বিজ্ঞাপন
এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই আঁশ থেকে খনিজ পদার্থ বাদ দেওয়া হয়। ফলে ওজন আরও দুই কেজি কমে যায়। টিকে থাকা ২ কেজি আঁশ থেকে ৬০০ গ্রামের মতো কোলাজেন পাওয়া যায়।
আঁশ থেকে পাওয়া কোলাজেন পাউডার বানিয়ে পাঠানো হয় বিদেশে। আমাদের দেশে মাছের আঁশ থেকে তৈরি কোলাজেনের একটি বড় অংশ যায় জাপানে। জানলে অবাক হবেন, প্রতিবছর কোটি কোটি টাকায় মাছের আঁশ রফতানি হয়।

কোলাজেনের ভারসাম্য যদি বজায় রাখা যায় এবং বয়স হলেও শরীরে কোলাজেন ধরে রাখা যায়, তাহলে ত্বকের বয়স একই জায়গায় আটকে থাকে। চুল থাকবে কালো তরতাজা।
তাহলে কি রান্না করা মাছের আঁশ খেলেও সুফল মিলবে? না। রান্না করা মাছের আঁশ পেটে গেলে তা থেকে পেটের অসুখ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই রান্না করার সময় অবশ্যই মাছের আঁশ ভালো করে ছাড়িয়ে নেওয়া উচিত।
এনএম

