করোনার সময় মানুষ যে দাওয়াইয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছিল তা হলো লবণ-পানিতে গার্গল করা (Gargle) বা কুলকুচি করা। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছিল করোনা থেকে বাঁচতে টিকার পাশাপাশি লবণ-পানিতে গার্গল সবচেয়ে কার্যকর। এই পন্থায় উপকারও পেয়েছেন অনেকে।
করোনার পর এই দাওয়াইয়ের কথা বেশিরভাগ মানুষই ভুলে গিয়েছেন। ঠান্ডা বা সর্দির সমস্যা দূর করতে কেউ কেউ এই কাজটি করে থাকেন। তবে লবণ-পানিতে গার্গল করার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

শরীরে পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখে
গলায় চুপ করে বসে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোর কারণে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এর প্রভাবে দেহের পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। নিয়মিত লবণ-পানিতে গার্গল করার মাধ্যমে এই সমস্যা আটকানো সম্ভব। এই কাজ করলে অ্যাসিডের প্রভাব কমতে থাকে। ফলে দেহের পিএইচ এর ভারসাম্য ঠিক থাকে। এতে গলায় উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমে
টনসিলের ব্যথায় অনেকেই কষ্ট পান। শীতে এই সমস্যা বাড়ে। টনসিলের যন্ত্রণা কমাতে রোজ লবণ-পানিতে গার্গল করার অভ্যাস করুন। ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাল সংক্রমণের কারণেই টনসিলে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে যন্ত্রণা শুরু হয়। লবণ-পানিতে গার্গল করলে জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। কমে টনসিলাইটিসের প্রকোপ।

মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়
মুখে দুর্গন্ধ হয় মূলত দুই কারণে। মুখগহ্বরে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আর শরীরে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে। এই দুই ক্ষেত্রেই ঈষদুষ্ণ লবণ-পানিতে গার্গল করলে উপকার মেলে।
ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে
কেবল মরসুম বদলের সময়েই নয়, দূষণের কারণেও ফুসফুসে সংক্রমণ হয়। দিনে তিন থেকে চার বার লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করলে সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। সঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ফুসফুসের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও দূর হয়।

দাঁতের সমস্যা দূর হয়
লবণ-পানিতে নিয়মিত গার্গল করে দাঁতের ক্ষয় আটকাতে পারেন। লবণে থাকে বেশ কিছু খনিজ, যা দাঁতের জন্য উপকারী। সেসঙ্গে দাঁতের একেবারে ওপরের স্তর, এনামেলের ক্ষতিও রোধ করে এটি। দাঁতের ব্যথা হলেও এই টোটকা মেনে চললে আরাম পাওয়া যায়।
এনএম

