পরিচিত একটি দুগ্ধজাত খাবার মাখন। খাঁটি মাখন স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি। পুষ্টির ভাণ্ডার এটি। নানা স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে মাখন। কেন খাবেন মাখন? এটি খেলে কী কী উপকারিতা মিলবে? চলুন জেনে নিই-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
বিজ্ঞাপন
মাখনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব পুষ্টি উপাদান। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত মাখন খেলে সংক্রমণ ও রোগ এড়ানো যায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপনি যদি ওজন কমানোর মিশনে থাকেন তাহলে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন মাখন। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিভিন্ন ডায়েট ফুড রান্নার জন্য তেলের বদলে এই উপাদানটি ব্যবহার করতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে
মাখনে আছে ক্যালশিয়াম। যাদের জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। বাতের ব্যথা কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায় মাখন খাওয়া।

ত্বকের জন্য উপকারী
মাখনে রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বকের জন্য উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ এই উপাদানটি ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত মাখন খেলে ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
মাখনে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ করতে তাদের খাদ্যতালিকায় মাখন রাখুন।

বাড়িতে মাখন তৈরির উপায়
বাড়িতে মাখন তৈরি করতে চাইলে প্রথমে ২-৩ লিটার দুধ কম আঁচে অনেকক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে দুধের ক্রিম বের করে নিন। চামচের সাহায্যে কিছুক্ষণ ঘোরান। এভাবে একটানা করতে করতে মাখন আলাদা হতে দেখা যাবে। তখন একটি আলাদা পাত্রে মাখন সরিয়ে সংগ্রহ করুন।
তবে উপকারি হলেও মাখন খুব বেশি মাত্রায় খাওয়া যাবে না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
এনএম

