শীত আর গোসল— দুটো শব্দ যেন সাংঘর্ষিক। তাপমাত্রার পারদ কমে গেলে কিছুতেই গা আর ভেজাতে ইচ্ছে করে না। গোসল না করেই দুই তিন পার করার চেষ্টা করে অনেকে। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে শীতেও গোসল করতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কখন?
কাউকে সকালেই ছুটতে হয় অফিসে বা কাজে। তার আগেই গোসল সারার সময়। কেউবা আবার গোসল করেন অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায়। ঘরে থাকলে গোসলের সময় ভর দুপুর। শীতে গোসল করার উপযুক্ত সময় কোনটি? কী বলছে বিশেষজ্ঞরা? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন
শীতে কখন গোসল করা উচিত?
সাধারণত শীতে খুব ভোরে গোসল করার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে হবে। সেটিই শরীরের জন্য মঙ্গলজনক। একান্তই কোনো উপায় না থাকলে কিছু করার নেই। কিন্তু নতুন কোনো বিকল্প খোজাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
শীতের ভোরে কেন গোসল করা উচিত নয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব ভোরে তাপমাত্রা কম থাকে। এই সময় গোসল করলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুযোগ থাকলে দুপুরে গোসল করাই সবচেয়ে ভালো।
সকালে কিংবা সন্ধ্যার পর গোসল করলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। আর ঠান্ডা লাগলে তা থেকে দেখা দিতে পারে বুকে সর্দি জমা, জ্বর, কাশির মতো সমস্যা। তাই শীতকালে গোসল করার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সময় মধ্য দুপুর।
আরও পড়ুন- শীতে গোসল না করলে কি ক্ষতি হয়?
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের খুব ভোর কিংবা সকালে গোসল করাটা এড়িয়ে যেতে হবে। তাদের ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা বেশি থাকে।
তবে আপনি যখনই ঘুম থেকে উঠুন না কেন, ঘুম থেকে উঠেই সরাসরি গোসলে যাবেন না। একটু নিজেকে সময় দিন। গায়ে রোদ লাগান, এরপর গোসল করুন।
আরও পড়ুন- শীতে নবজাতকের গোসল, মানুন এসব নিয়ম
শীতে গোসলের আগে গায়ে তেল মেখে রোদে বসলে খুবই উপকার মিলবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট এভাবে থাকতে পারেন। শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
তবে আলস্য আসুক কিংবা আতঙ্ক, গোসল করা থেকে বিরত থাকবেন না। কারণ গোসল করলে আমাদের শরীর থেকে অনেক রোগ বিদায় নেয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে।
এই নিয়ম মানার পরও যদি শরীর খারাপ হয়ে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এনএম
