বাসা-বাড়ির বায়ু দূষণ কমাতে অনেকেই এয়ার পিউরিফায়ার চালান। কেউবা দূষণ কমাতে ঘরে রাখেন ইনডোর প্ল্যান্টস। এই দুইটির মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকরী? জানুন বিস্তারিত।
বাতাসের মান রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বায়ুদূষণের জেরে যতটা পারা যায়, ততটা ঘরেই থাকার চেষ্টা করছেন বহু মানুষ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঘরের বাতাস কি আদৌ বিশুদ্ধ?
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: চিরতার জাদুকরি উপকারিতা জানেন না অনেকেই
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য এয়ার পিউরিফায়ারের তুলনা নেই। কিন্তু আমাদের হাতে প্রাকৃতিক এয়ার পিউরিফিকেশনের নানা কৌশল রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ইনডোর প্ল্যান্টস। পরিবেশবান্ধব উপায় হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এটি। কিন্তু আদৌ এই কৌশল কি কাজ করে? আর এয়ার পিউরিফায়ারের সঙ্গে ইনডোর প্ল্যান্টসের পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা কি আদৌ রয়েছে? সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
ন্যাচারাল এয়ার পিউরিফিকেশন কৌশলের মধ্যে অন্যতম হল- ঘরের বাতাসের মান ভালো করার জন্য প্রাকৃতিক সমাধানের ব্যবহার। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় কৌশল হল, ঘরের মধ্যে গাছ রাখা। আসলে কিছু কিছু গাছের টক্সিন বার করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে। পাশাপাশি এগুলো ঘরের অক্সিজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
একটি ক্লিন এয়ার স্টাডি রিলিজ করেছে নাসা। তারপর থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে গিয়েছে এই কৌশল। ওই স্টাডিতে দেখা গিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কিছু হাউজপ্ল্যান্ট বাতাস থেকে বেঞ্জিন এবং ফর্ম্যালডিহাইডের মতো ক্ষতিকর দূষণকারী পদার্থ দূর করতে সক্ষম। এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, নিজেদের ঘরে গাছ রেখে ঘরের বাতাসের মান ভালো করা সম্ভব। একটি বদ্ধ চেম্বারে এবং একটি অত্যন্ত নির্দিষ্ট অবস্থায় এই গবেষণা করা হয়েছিল। তবে বেশিরভাগ বাড়ির সঙ্গে এর কোনও মিল নেই।
আরও পড়ুন: মধু নিতে স্টিলের চামচ ব্যবহার, ভুল করছেন না তো?
ঘরে একটা শান্তির বাতাবরণ তৈরি করে গাছ। কিন্তু এয়ার পিউরিফিকেশনের কথা বলতে গেলে আসলে এর ক্ষমতা অতিরঞ্জিতই করা হয়। গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। বাস্তবের বিশ্বে তাদের টক্সিন অপসারণ করার ক্ষমতা খুবই কম। আবার গাছের যত্নের প্রয়োজন হয়। অবহেলা করলে এর মধ্যে ধুলা-ময়লা পড়তে পারে। যা বাতাসের মান আরও খারাপ করে দিতে পারে।
বাতাসের মান সংক্রান্ত সমস্যা কার্যকর ভাবে দূর করার জন্য আধুনিক এয়ার পিউরিফায়ার তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকে HEPA filters, activated carbon filters এবং UV-C light-এর মতো প্রযুক্তি। যা ব্যাপক পরিমাণে পলিউট্যান্ট ক্যাপচার করে। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি অ্যালার্জেন, ধুলা-ময়লা এমনকি কিছু ব্যাকটেরিয়াও এতে আটকে যায়।
স্পিড এবং কভারেজের নিরিখে আধুনিক এয়ার পিউরিফায়ারকে টক্কর দেওয়া মুশকিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে এটি। সেই সঙ্গে অনেকটা বড় জায়গায় ভালো কাজ করে এয়ার পিউরিফায়ার। ফলে যারা কার্যকর ফলাফল চান, তাদের জন্য সেরা হতে পারে এই আধুনিক ডিভাইস।
এজেড