ডায়াবেটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। ছোটদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিস দেখা যায়। অন্যদিকে টাইপ ২ ধরন দেখা দেয় বড়দের। এতদিন বলা হতো, বয়স ৪০ পার হলেও এই রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এখন আর সেই হিসেব মিলছে না।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে অনেকেই ২৫ বছর বয়সেও ডায়াবেটিসের টাইপ ২ ধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এই বয়সেই রোগটি নিয়ে সচেতন হতে হবে। কেন হয় টাইপ ২ ডায়াবেটিস? এর পেছনে কোন কারণগুলো কাজ করে? জানুন এই প্রতিবেদনে-
বিজ্ঞাপন

স্থূলতা দায়ী
বর্তমানে অসংখ্য মানুষ বাড়তি ওজনের অধিকারী। শিশুরাও খেলাধুলা, শারীরিক পরিশ্রম করে না বললেই চলে। অন্যদিকে মানুষ দিন দিন প্রক্রিয়াজাত খাবারে আকৃষ্ট হচ্ছে। ফলে দ্রুত গতিতে বাড়ছে ওজন। শরীরে বাড়তি মেদ জমলে একটা সময়ের পদ ইনসুলিন রেজিস্টেন্ট দেখা দেয়। অর্থাৎ ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে পিছু নেয় ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ। স্থূলতার কারণে আরও অনেক স্বাস্থ্য জটিলতা সঙ্গী হয়।
সঠিক খাবার না খাওয়া
বিজ্ঞাপন
শিশুরা এখন কম বয়স থেকেই বাইরের খাবারে অভ্যস্ত। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। সেসঙ্গে এসব খাবারে যেই ধরনের তেল ব্যবহার হয়, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। তাই বাইরের খাবার নিয়মিত খেলে বাড়তে পারে ওজন। পাশাপাশি এখনকার দ্রুত জীবনযাত্রাও ছোটদের মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ ফেলছে। তাতে শরীরে বাড়ছে স্ট্রেস হরমোন। ঠিকমতো হচ্ছে না ঘুম। এই বিষয়গুলোই একটা বয়সে গিয়ে ডায়াবেটিসে রূপ নিচ্ছে। বিশেষত যাদের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে তাদের বিপদে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।

কোন কোন লক্ষণে দেখা দিলে সাবধান হবেন?
চিকিৎসকদের মতে, কম বয়সের ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ ক্লান্তি। অল্পতেই ক্লান্তি গ্রাস করে। কোনো কাজে মন বসে না। এছাড়া হুট করে ওজন অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। এটাই মূলত প্রাথমিক লক্ষণ। সমস্যা আরেকটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে বারবার প্রস্রাব পেতে পারে। রাতে প্রস্রাবের বেগের জন্য একাধিকবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে।
এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত একবার ডায়াবেটিস টেস্ট করিয়ে নিন। সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এনএম

