সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মা হওয়ার আদর্শ বয়স কত? বেশি বয়সে মা হতে চাইলে যেসব জটিলতা হতে পারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মা হওয়ার আদর্শ বয়স কত? বেশি বয়সে মা হতে চাইলে যেসব জটিলতা হতে পারে

বর্তমানে নারীরা পড়াশোনা আর ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ সচেতন। মাঝপথে পড়াশোনা থেমে যাক এমনটা তারা চান না। আবার পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না করে কেবল সংসারেও অনেকে ইচ্ছুক নন। তাই আগের তুলনায় বিয়ে করতে করছেন বেশিরভাগ নারী। সেই সূত্রে সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনায়ও হচ্ছে দেরি। 

আজকাল অনেক নারীই সন্তান নিতে গিয়ে নানা জটিলতায় পড়ছেন। এর বেশিরভাগই বয়স সংক্রান্ত। বেশি বয়সে সন্তান নিতে গেলে নানা বাধা আসে, বাড়ে হতাশা। তাই প্রশ্ন জাগে, কোন বয়সে সন্তান নিলে ভালো হয়? 


বিজ্ঞাপন


baby2

এই বিষয়ে ভারতের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বয়স চল্লিশ পেরিয়েও মা হওয়া যায়। এখন এমন ঘটনা অনেক ঘটছে। এমনকি পঞ্চাশের পরেও মা হচ্ছেন অনেকে। শরীর তৈরি থাকলে এটি অসম্ভব নয়। তবে ঝুঁকি থেকেই যায়। আসলে সন্তান নেওয়ার একটা সঠিক সময় আছে। চেষ্টা করতে হবে সেই বয়সের মধ্যে সন্তান নিতে।’

এই চিকিৎসকের মতে, মা হওয়ার আদর্শ বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর। এই বয়সেই একজন নারীর জরায়ুর উর্বরতা সবচেয়ে বেশি থাকে। ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে জরায়ুর কর্মক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। এজন্য ৩৫ বছরের পর যদি কেউ মা হওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে সবার আগে জরায়ুর অবস্থা এবং ডিম্বাণুর গুণগত মান পরীক্ষা করে নিতে হবে।

baby3


বিজ্ঞাপন


বেশি বয়সে মা হতে চাওয়া কেন ঝুঁকিপূর্ণ? 

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, ৩০ বছর পার হওয়ার পর জরায়ুর ধারণক্ষমতা ও উর্বরতা দুটোই কমতে থাকে। তখন সন্তান জন্ম দিতে সমস্যা হতে পারে। আর যদি হরমোনের ভারসাম্য সঠিক না থাকে, তাহলে গর্ভপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। অন্যদিকে ডিম্বাণুর গুণমান ভালো না হলে সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। অনেকসময় মায়ের শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সন্তান গ্রহণের প্রস্তুতি 

বর্তমানে দেশেও প্রি-কনসেপশনাল কাউন্সেলিং চালু হয়েছে। বিশেষজ্ঞের মতে, সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে, তা চিকিৎসকই বুঝিয়ে বলে দেবেন। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা আছে কি না তা-ও পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে।

baby4

বয়স ৩৫ পার করে গেলেই সেই নারীর রক্তের ‘এনআইপিটি টেস্ট’ করে নেওয়া হয়। এতেই ৯৯ শতাংশ বলে দেওয়া যায় সন্তানের ডাউন সিন্ড্রোম হতে পারে কি না। আলট্রাসাউন্ড ও এএএইচ পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায় স্বাভাবিকভাবে মা হওয়া সম্ভব কি না। 

এসব পরীক্ষায় আরও দেখা হয়, সন্তানধারণে ও প্রসবের সময় কোনো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে কি না। সবকিছু পরীক্ষা করার পরে সন্তান গ্রহণের পদক্ষেপ নিন। এতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর