মানুষ ভেদে একেকজনের আবেগ একেকরকম হয়। কেউ নিজেকে সামলে নেন যেকোনো পরিস্থিতিতে। আবার কেউবা অল্পতেই ভেঙে পড়েন। মান-অভিমান জমলেই চোখের জলে বুক ভাসান। কান্না একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। অনেকে চোখে পানি আসাকে দুর্বলতা মনে করেন। এটি ঠিক নয়। হাসির মতো কান্নাও স্বাভাবিক বিষয়।
কাঁদলে মন হালকা হয়। বরং না কেঁদে সব যন্ত্রণা মনে পুষে রাখলে শরীরে জমে নানা রোগ। কেউ কেউ আছেন যারা অল্পতেই কেঁদে ফেলেন। কথায় কথায় যারা কাঁদেন তাদের কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

চোখ থেকে ধোঁয়া ও ধুলোর মতো ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে রিফ্লেক্স টিয়ার। অবিরাম অশ্রুতে ৯৮ শতাংশ পানি থাকে যা চোখকে তৈলাক্ত করতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
দীর্ঘ সময় ধরে কাঁদলে অক্সিটোসিন ও এন্ডোজেনাস ওপিওডের মতো এন্ডোরফিনের নিঃসরণ ঘটে। এই রাসায়নিকগুলো শারীরিক ও মানসিক উভয় সমস্যা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। কথায় কথায় যারে কাঁদে, এমন মানুষরা কেমন স্বভাবের হয়?

বিজ্ঞাপন
এমন ব্যক্তিদের ইমোশনাল কোশেন্ট তুলনামূলক বেশি হয়। কারণ এরা সহজেই নিজের ভেতরে কী চলছে তা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে এরা ‘না’ বলতে পারেন আবার প্রয়োজনে অন্যের পাশে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন।
বন্ধু হিসেবে এমন মানুষরা ভালো হয়। কারণ বন্ধুত্বে আবেগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসলে অল্পতে যারা কেঁদে ফেলেন তাদের আবেগ বেশি কাজ করে। এরা নিজের মনের ভাব বোঝাতে সক্ষম। এমন ব্যক্তিরা যেমন কাঁদতে জানেন, তেমনি হাসিতেও বন্ধুকে ভরিয়ে রাখেন।

অনেকেই কান্নাকে দুর্বলতা মনে করেন। মানুষ কী বলবে, এই ভেবে অনেকেই কাঁদেন না। কান্না আসলেও চোয়াল শক্ত করে চেপে রাখেন। কিন্তু যারা সহজেই কেঁদে ফেলেন তারা এসবের তোয়াক্কা করেন না। ভয় না পেয়ে নিজের আবেগকেই তারা প্রাধান্য দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে যেন হাসিখুশি থাকাটাই অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই নিজের দুঃখ লুকিয়ে সুখী হওয়ার অভিনয় করেন। বিশেষত কোনো পুরুষ কাঁদলে সমাজ তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে। তবে যারা হাসির মতো মনে দুঃখ এলে কাঁদতেও পারেন, তারা সমাজের এই ট্যাবুগুলো তোয়াক্কা করেন না।

অল্পেতেই যারা কেঁদে ফেলেন, তাদের জীবন থেকে স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়। কান্না মানসিক চাপ কমায়। অন্যদিকে, না কেঁদে কষ্ট চেপে রাখলে নানা অসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে।
এনএম

