বিবাহিত জীবনে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরি। হয়তো একটা সময় সম্পর্ক থাকলেও ভালোবাসা পালিয়ে যাবে। তখন শত চেষ্টা করেও তা আর ফেরানো সম্ভব হয় না। পারস্পরিক বিশ্বাস আর ভালোবাসার অভাবে দুজনের মধ্যে বাড়ে দূরত্ব। এমনকি তা বিচ্ছেদের কারণও হতে পারে।
কিন্তু কিছু কিছু নারী এসব বিষয় বুঝেও না বোঝার ভান করেন। স্বামীর সঙ্গে সবসময় উদ্ধত আচরণ করতে থাকেন। স্বামীকে অপমান করে আনন্দ পান। আপনার স্ত্রীর যদি এমন স্বভাব থাকে তাহলে এখনই সাবধান হোন। কীভাবে স্ত্রীর এমন স্বভাব বদলাবেন জানুন তার উপায়-
বিজ্ঞাপন

কথাতেই মেটান সমস্যা
আপনি কি স্ত্রীর সব কথা শোনেন? তার সব দাবি মেনে নেন? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলেই মুশকিল! কারণ, এই ভুলের কারণেই ধীরে ধীরে আপনার স্ত্রী উদ্ধত হয়ে উঠেছেন। আর তিনি খারাপ আচরণের সুযোগ পেয়ে যান।
তাই সবার প্রথমে নিজের ভুল শোধরান। তিনি আপনাকে কথা শোনালে এই বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। আপনার মানসিক সমস্যার কথা তাকে বুঝিয়ে বলুন। এতে তিনি ব্যবহারে সংযত হবেন।
বিজ্ঞাপন

ভালোবাসা দিয়ে বোঝান
অনেকে বলে, বিয়ের বয়স যত বাড়ে ভালোবাসা তত কমে। আর তাই নারীরা স্বামীর সঙ্গে বাজে আচরণ করে। তাই সবার আগে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন স্ত্রীর মধ্যে আদৌ ভালোবাসা রয়েছে কিনা। তার মনে ভালোবাসা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। কারণ ভালোবাসা বাড়লে তার আচরণে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে।
তাকে একটু বেশি সময় দিন। ভালো ভালো কথা বলুন। এতে পরিস্থিতি হাতের নাগালে চলে আসবে।

নিজের মত জানান
ব্যক্তিত্বে দৃঢ়তা না থাকলে স্ত্রী আপনাকে একদমই পাত্তা দেবেন না। তাই আজ থেকে ব্যক্তিত্বে কিছুটা দৃঢ়তা আনার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে কনফিডেন্স নিয়ে কথা বলুন। এমনকী তিনি আপনার বিরুদ্ধে কিছু বললে, নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিন। তাহলে তিনি শুধরে যাবেন।
নীরবতাই শেষ অস্ত্র
অনেকভাবে বোঝানোর পরও স্ত্রী উদ্ধত আচরণ করতে পারেন। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে একবারে চুপ হয়ে যান। এমনকী তিনি কথা বলতে এলেও থাকবেন স্পিকটি নট। ব্যস, তাহলেই দেখবেন স্ত্রী নিজের ভুল বুঝতে পারছেন। আর তাতে তিনি নিজেকে বদলে ফেলতেও পারেন।
সবকিছু করার পরও যদি স্ত্রীর কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
এনএম

