কথায় বলে, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’। বাস্তবে এই কথাটি অর্ধেক সত্য। সংসারের সুখ নারী ও পুরুষ উভয়ের ওপরেই নির্ভর করে। দাম্পত্য জীবনে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ থাকা ভুল কিছু নয়। মতের অমিল থাকতে পারে। যেকোনো সম্পর্কই কখনো প্রেম ভালোবাসায় ভরা থাকে। আবার কখনো ভুল বোঝাবুঝি পাত পেড়ে বসে। সব সামলে আগামী পথে পা বাড়ানোই সংসার জীবনের ধর্ম।
তবে কখনো কখনো পারস্পরিক মতপার্থক্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে। একসময় তার ব্যাপ্তি এত বেশি হয় যে তা বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুখী দাম্পত্য জীবন চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তাহলে দ্বন্দ্ব আর দুজনের মাঝে স্থায়ী হবে না। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

সঙ্গীকে সময় দিন
প্রতিটি সম্পর্ককে মজবুত রাখতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে, একজন কর্মরত স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের জন্য সময় বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এটাই আপনার সম্পর্ককে ভাল রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব একটা ফাটল সৃষ্টি করে যা ভবিষ্যতে সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। অতএব, আপনার সঙ্গীর জন্য সময় বের করার চেষ্টা করুন।
সম্পর্ক মজবুত রাখতে পরস্পরকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। দাম্পত্য জীবনে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য আলাদা সময় বের করা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু অফিস আর বাসায় ফিরে খাওয়া ঘুমে যদি জীবন আটকে ফেলেন তা দাম্পত্য জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। অপরপক্ষের মনে অভিমানের পাহাড় জমতে পারে এমন আচরণে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির একটি বড় কারণ সময় না দেওয়া।
বিজ্ঞাপন

তাই শত ব্যস্ততার ফাঁকেও অপরপক্ষের জন্য সময় বের করুন। তার সঙ্গে গল্প করুন। তার কথা শুনুন। দুজন অনুভূতি ভাগাভাগি করুন। সংসারে সুখ নেমে আসবে।
কথোপকথন গুরুত্বপূর্ণ
কথায় বলে, যুদ্ধের চেয়ে সংঘাত সমাধানের জন্য আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই কথা সংসারের বেলায়ও খাটে। স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ে যদি আপনার মনে কোনো সন্দেহ বা অভিমান জন্মে তাহলে যত দ্রুত আলোচনা করবেন, তত বেশি সমাধান মিলবে। অনেকক্ষেত্রে স্বামী অফিসের চাপে বিরক্ত থাকেন। অন্যদিকে স্ত্রী ভাবেন তাকে আগের মতো ভালোবাসছেন না। অথচ দুজন কথা বললেই দূর হবে মানসিক চাপ।

সুখী দাম্পত্য চাইলে অপরপক্ষকে বুঝতে হবে। ইগো বা যোগাযোগের অভাব যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। নয়তো ছোট্ট এই ভুলেই সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হবে।
ভুল স্বীকার করতে শিখুন
জেনে বা না জেনে আমরা এমন অনেক ভুল করে ফেলি যা অন্য কারো মনে বাজে প্রভাব ফেলে, হৃদয়ে আঘাত করে। রাগের মাথায় আমরা নিজের ভুল দেখতে পাই না। এমনটা কিন্তু একদমই ঠিক নই। সুখী দাম্পত্য চাইলে নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখুন।

ঝগড়া হলে ইগো ঝেড়ে স্যরি বলুন। ক্ষমা চাওয়ায় কেউ ছোট হয় না। বরং মন থেকে স্বস্তি পাবেন। আপনার একটি ছোট্ট ক্ষমাই সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পারে। তাই সঙ্গীকে দোষারোপ না করে মাঝেমধ্যে নিজের ভুল মেনে নিন।
এনএম

