চারপাশে উৎসবের আমেজ। বছর ঘুরে ফের এসেছে দুর্গাপূজা। সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে ব্যস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পূজা মানেই নতুন পোশাক। তার সঙ্গে একজোড়া নতুন জুতাও চাই। সমস্যা হলো এই নতুন জুতা পরে একটু ঘোরাঘুরি করলেই পায়ে ফোসকা পড়ে। ব্যথা সামলাতে তখন ভরসা রাখতে হয় ব্যান্ড এইড, তুলা, ওষুধ আর পেইন কিলারে।
যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যা সঙ্গী হলে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটাচলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু পূজাতে তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না। তাহলে উপায়? কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে ফোস্কার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারে। চলুন সেই কায়দাই জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

ফোস্কা যেন না পড়ে তার জন্য করণীয়
জুতা পরার আগের রাতে জুতার গায়ে ময়েশ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল ভালো করে মেখে রাখুন। এভাবেই সারা রাত রেখে দিন। সকালে কোনো কাপড় দিয়ে মুছে পরুন। জুতা পরার সময় পায়েও খানিকটা ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ফোস্কার ঝুঁকি কম থাকে।
জুতার নির্দিষ্ট কিছু অংশের চামড়া মোটা থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঘষা লেগে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এক্ষেত্রে সেসব অংশে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে জুতার চামড়া নরম হবে।
বিজ্ঞাপন

কিন্তু এসব নিয়ম মেনেও যদি পায়ে ফোস্কা পড়ে, তাহলে উপায়?
অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম
ফোস্কা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা করতে যাবেন না। আক্রান্ত স্থানে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এইড লাগান। স্বস্তি মিলবে।
মধু ও অ্যালোভেরা জেল
ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে প্রতিদিন ৩ বার করে মধু ও অ্যালোভেরা জেল লাগান। এই দুটো উপাদান ফোস্কার ক্ষত শুকোতে সাহায্য করে।

টুথপেস্ট
ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতেও আরাম মেলে। ফোস্কার যন্ত্রণা কমাতে বরফও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
নারকেল তেল
ফোস্কা সারাতে দারুণ কাজ করে নারকেল তেল। নতুন জুতা পরার আগে পায়ে নারকেল তেল মালিশ করতে পারেন। পায়ে তেল লাগানো থাকলে সহজে ফোস্কা পড়ে না।

আটা
হ্যাঁ, রান্নাঘরে থাকা এই উপাদানটিও ফোস্কার ব্যথা কমায়। সামান্য পানির সঙ্গে আটা গুলে থকথকে মণ্ড তৈরি করুন। এই মণ্ড ফোস্কায় লাগালে ক্ষত দ্রুত শুকাবে।
তবে নতুন জুতা পরার কারণে যদি ফোস্কা থেকে বড়সড় ক্ষত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
এনএম

