কখনো অকারণে হাসি, কখনোবা অভিমানের দিস্তা। আবেগগুলো যখন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে তখন এর পেছনে হরমোনকে দায়ী করা হয়। নানারকম হরমোনের ওঠানামার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। তবে এমন কথা নারীদের বেলায়ই আমরা বলে আসছি। জানলে অবাক হবেন, নারীদের মতো হরমোনজনিত জটিলতায় পড়েন পুরুষরাও। নারীদের মতো জটিল না হলেও এর কারণে পুরুষের মেজাজ বদলায়।
নারীদের হরমোনজনিত জটিলতা নিয়ে আলোচনা হলেও পুরুষদের বিষয়ে তেমন আলোচনা হয় না। মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, যেকোনো সম্পর্কে যদি পুরুষ ও নারী পরস্পরের হরমোনজনিত বদলগুলো জেনে থাকেন তাহলে সম্পর্ক ভালো থাকে। এতে একে অপরের মেজাজ বুঝে কাজ করতে পারবেন সহজে।
বিজ্ঞাপন

কীভাবে পুরুষের হরমোনজনিত বদল ঘটে?
মনোবিদ চিকিৎসকের মতে, পুরুষের হরমোনের ওঠানামা চলে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপি। অর্থাৎ প্রতিদিনই এটি চলে। হরমোন-চক্রে সকালের দিকে টেস্টোস্টেরন থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। দিন যত গড়াতে থাকে, ততই তা কমতে থাকে।’
আরও পড়ুন-
বিজ্ঞাপন
নারীর তুলনায় পুরুষের গড় আয়ু কম কেন?
বিয়ে না করলে হতে পারে কঠিন অসুখ, বলছে গবেষণা
নারী বনাম পুরুষের হরমোন-চক্র
মেয়েদের হরমোন-চক্র সাধারণত ২৮ দিন ধরে চলে (কারো কারো ক্ষেত্রে এটি ৩০-৩৫ দিনের হতে পারে)। মূলত ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনেরই আধিপত্য চলে এই চক্রে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে হরমোন জনিত বদল হয় অত্যন্ত ধীরগতিতে। অন্যদিকে, পুরুষের হরমোনজনিত বদলের প্রভাব চোখে পড়ে তৎক্ষণাৎ। এর প্রভাব পড়ে রোজকার আচরণেও।

হরমোনের কারণে কীভাবে পুরুষের মেজাজ বদলায়?
একজন পুরুষ যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন তিনি সবচেয়ে বেশি তরতাজা বোধ করেন। সকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন একজন পুরুষের চনমনে ভাব, আত্মবিশ্বাস এমনকি, যৌন আকাঙ্ক্ষাও থাকে বেশি। এই হরমোনের মাত্রা কমতে থাকলে দিনের দ্বিতীয় ভাগে ধীরে ধীরে মেজাজ ও চনমনে ভাব কমতে থাকে। সন্ধ্যার পরে ধীরে ধীরে তা ক্লান্তি বোধ ও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মনোবিদরা কী বলছেন?
মনোবিদদের মতে, পুরুষের হরমোনজনিত বদলের কথা মাথায় রেখে দম্পতি তাদের সারা দিনের কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন। দিনের শুরুর দিকে এমন কাজগুলো করুন যাতে বেশি শক্তির প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা কাজ দিনের প্রথমভাগেই করে ফেলা ভালো। দিনের শেষের দিকে রাখুন হালকা কাজ বা এমন কিছু, যা স্বস্তি ও আরাম দেবে।
এনএম

