রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কাঞ্জিভরমের ৭ ধরন, কোনটির কী বৈশিষ্ট্য? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

কাঞ্জিভরমের ৭ ধরন, কোনটির কী বৈশিষ্ট্য? 

কাঞ্জিভরম কিংবা কাঞ্চিভরম। শাড়িপ্রেমী নারীদের কাছে বর্তমানে ভীষণ জনপ্রিয় এই শাড়ি। দক্ষিণ ভারতীয় ছবির প্রচারে বলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর পরেছিলেন একটি সোনালি কাঞ্জি। এ যুগের নারীরা সাধারণত কাঞ্জিভরমের মতো ভারী শাড়ি পরেন না। তবে রূপ আর আভিজাত্যের মিশেল এই শাড়ি এড়িয়ে চলারও উপায় নেই। তাইতো দীপিকা, বিদ্যা বালানের মতো সব অভিনেত্রীকেই নানা অনুষ্ঠানে কাঞ্জিভরম পরতে দেখা যায়। আর রেখার মতো কাঞ্চি প্রেমী তো কমই আছেন। 

অতিরিক্ত উজ্জ্বল ও ঝলমলে বলে দক্ষিণ ভারতীয় এই সিল্কের শাড়িকে অনেকেই এড়িয়ে চলেন। তবে সময়কে হার মানিয়ে ফের ফ্যাশনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঞ্জিভরম। জানেন কি, কত রকম কাঞ্জিভরম শাড়ি রয়েছে? সেগুলোর বৈশিষ্ট্যই বা কী? চলুন বিস্তারিত জানা যাক- 


বিজ্ঞাপন


4_fd6f214c-5ad2-483b-bc8f-e16ddd298bd2

ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরম

ঐতিহ্যবাহী কাঞ্জিভরমের মূল বৈশিষ্ট্য হলো চওড়া পাড়। এতে কখনো কখনো জরি বা সুতোর কাজ করা থাকে, কখনো থাকে না। শাড়ি জুড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে মুদ্রা বা চক্রের ‘মোটিফ’ বা প্রতীক থাকে। 

কোরভাই কাঞ্জিভরম


বিজ্ঞাপন


কোরভাই কাঞ্জির বৈশিষ্ট্য হলো বিশেষত্ব হলো, এর জমি আর পাড় সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বোনা হয়। ফলে শাড়িতে নানা রকম রংমিলন্তি তৈরি করা যায়। এমনটা সচরাচর চোখে পড়ে না।

kanchi

টিস্যু সিল্ক কাঞ্জিভরম

২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি চাহিদা টিস্যু সিল্ক কাঞ্জিভরমের। এর কারণ এই কাঞ্জিভরম অন্যান্য কাঞ্জিভরমের থেকে অনেক বেশি হালকা। তাই গরমেও তা অস্বস্তির কারণ হবে না।

জরি ব্রোকেড কাঞ্জিভরম

সাধারণত জরি ব্রোকেড কাঞ্জিভরম শাড়ির জমিন হয় আকর্ষণীয়। ছোট ছোট লতাপাতা, ফুল, ময়ূর বা অন্যকিছুর মোটিফ থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জমিনের রঙের কাছাকাছি রঙের সুতা দিয়ে কাজ করা হয়। তবে কখনো কখনো বিপরীতধর্মী রংও ব্যবহার করা হয়।

kanchi1

পাড়হীন কাঞ্জিভরম

নামেই বোঝা যায়, ঐতিহ্যবাহী নকশাকে বিদায় জানানোই এই কাঞ্জিভরম বানানোর লক্ষ্য। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে এই শাড়ি তৈরি হয়। 

সোনা-রূপার সুতার কাঞ্জিভরম

সিল্কের সঙ্গে সোনা কিংবা রূপার তৈরি জরি মিশে তৈরি হয় থ্রেড ব্রোকেড কাঞ্জিভরম। এজন্যই এমন নাম। বিশেষ ওই বুনন পদ্ধতি কাঞ্জিভরমের রংকে অন্য মাত্রা দেয়।

sha4752_1

পাট্টুপেট্টু কাঞ্জিভরম

চওড়া পাড়ে সূক্ষ্ম নকশা আর শাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট বুটি। এটিই হলো এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য। পাট্টুপেট্টু কাঞ্জিভরমকে বুটিদার বা বুটা কাঞ্জিভরমও বলেন অনেকে।

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর