সন্তান ধারণ করতে চাইলেও অনেকে ব্যর্থ হন। কেবল নারী নয়, অনেকাংশে এর জন্য পুরুষরাও দায়ী। সন্তান ধারণের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ পুরুষদের শুক্রাণুর সমস্যা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত চল্লিশ বছরে বিশ্বজুড়ে পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে গড়ে ৫৯ শতাংশ। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দৈনন্দিন জীবনচর্চা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণেই বাড়ছে বন্ধ্যত্বর আশঙ্কা।
বিজ্ঞাপন
কিছু খাবার রয়েছে যা পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। চলুন এমন খাবার সম্পর্কে জেনে নিই।
সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
শুক্রাণু উৎপাদনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে ট্রান্স ফ্যাট ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড অণ্ডকোষে জমা হতে পারে। এ ধরনের স্নেহ পদার্থের উপস্থিতি শুক্রাণুর স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে। এতে শুক্রাণুর ঘনত্বও কমতে পারে।
বিজ্ঞাপন
প্রক্রিয়াজাত মাংস
বিশেষজ্ঞদের মতে শুক্রাণুর পরিমাণ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ প্রক্রিয়াজাত মাংস। এতে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। পাশাপাশি, এই ধরনের মাংসে কৃত্রিম সংরক্ষক ও উৎসেচকের অবশিষ্টাংশ থাকে। শুক্রাণু উৎপাদনে যা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান
সিগারেট, গাঁজা, মদ ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুক্রাণুর সমস্যার জন্য দায়ী এগুলো। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপানে শুক্রাণুর গঠনগত বিকৃতি ঘটাতে পারে।
অতিরিক্ত স্নেহজাতীয় পদার্থযুক্ত দুগ্ধজাত পদার্থ
উৎপাদন বাড়াতে বর্তমানে গবাদি পশুকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। এর প্রভাব পড়ে দুধেও। এই ধরনের গবাদি পশুর দুধে স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকে অনেক বেশি। সম্প্রতি ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী যুবকদের ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ ধরনের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে শুক্রাণুর চলাচল, গতি ও আকৃতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ
ফসলে ব্যবহৃত বিভিন্ন সার ও কীটনাশকে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে তা শুক্রাণুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার, অধিকাংশ খাদ্যেই এ ধরনের রাসায়নিক মিশে থাকে, যা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। এ কারণে সবজি রান্নার পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
বর্তমানে পুরুষের বন্ধ্যত্বের হার বাড়ছে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি।
এনএম/এজেড