স্ত্রীর প্রতি অনেকেই অভিযোগ করেন তারা কথা শোনে না। একই কথা বারবার বলার পরও কোনো কাজ হয় না। স্বামী-স্ত্রীর তাদের এমন অদ্ভুত কার্যকলাপের সরাসরি প্রভাব পড়ে সম্পর্কের ওপর। তখন দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। দাম্পত্যে তৈরি হয় শূন্যতা।
তাই পরিস্থিতি এতটা খারাপ দিকে যাওয়ার আগেই আপনাকে সাবধান হতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীর মধ্যেও যদি এই সমস্যা থাকে, তাহলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত কয়েকটি টিপস ঝটপট জেনে নিন। তারপর তা মেনে চলুন। তাতেই স্ত্রীর মতিগতি বদলে ফেলতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
আজই কথা বলুন
অনেক পুরুষই স্ত্রীর এই ধরনের সমস্যা দেখার পরও তা এড়িয়ে যান। এই নিয়ে কথা বলতে চান না। যেই কারণে সমস্যা বাড়ে। স্ত্রী আরও বেশি বেশি করে এক কথা নিয়ে প্যাঁচাতেই থাকেন। তাই আর সময় নষ্ট নয়। বরং আজই স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে তার এই ধরনের আচরণ আপনার একবারে ভালো লাগছে না। সেই কারণে আপনাদের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব। আশা করছি, এই কাজটা করলেই খেলা ঘুরে যাবে। ধীরে ধীরে নিজের অভ্যাস বদলে ফেলবেন প্রেমিকা।
বিজ্ঞাপন
কথা নয় নীরবতা
তাকে বোঝানোর পরও যদি তিনি না বোঝেন, তাহলে আপনাকে চুপ করে যেতে হবে। এবার থেকে তিনি এক কথা বারবার বললেই আপনি চুপ করে যান। এমনকি পারলে সেই জায়গা ছেড়ে উঠে যেতেও পারেন। তাতেই দেখবেন স্ত্রীর কাছে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা যাবে। তিনি এরপর থেকে এই ধরনের আচরণ করার আগে হাজারবার ভাববেন। এমনকি তিনি নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টাও করতে পারেন।
কথা না শুনলে সমস্যা হবেই
প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামীর থেকে কিছু জিনিস আশা করেন। আপনার অর্ধাঙ্গীনিও নিশ্চিত ভাবে ব্যতিক্রম নয়। তাই তিনি আপনার থেকে আশা করতেই পারেন। কিন্তু আপনি যদি সেই কথায় কান না দেন, তাহলে তিনি এক কথা বারবার বলবেনই। এভাবেই তিনি নিজের মনের কথা আপনার কাছে পৌঁছে দিতে চাইতে পারেন। তাই এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে একবার ভেবে দেখুন আপনি স্ত্রীর কথা শোনেন কিনা। যদি না শোনেন, তাহলে নিজেকে বদলে ফেলার কাজে লেগে পড়ুন।
একই ব্যবহার করুন
তিনি আপনার সঙ্গে যেই ধরনের ব্যবহার করেন, সেই একই ব্যবহার তাকে ফিরিয়ে দিন। অর্থাৎ এবার থেকে আপনিও কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে বারবার বলতেই থাকুন। তাতেই দেখবেন খেলা ঘুরে যাবে। তিনি বুঝতে পারবেন যে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে এই পথে হেঁটেছেন। আর তাতেই পরিস্থিতি শুধরে যেতে পারে বলে মনে করছেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
অনেক সময় আপনি শত চেষ্টা করার পরও পরিস্থিতি শুধরে দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তাঁর কাছে গোটা বিষয়টা খুলে বলুন। তার পরামর্শ মতো চলতে বলুন স্ত্রীকে। ব্যস, তাহলেই অনায়াসে এই সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেলতে পারবেন। তারপর আবার একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
এজেড