ভাতের সঙ্গে বাঙালির প্রেম বেশ পুরনো। দিনে অন্তত একবার ভাত না খেলে শরীর আনছান করতে থাকে। ভাতের প্রতি বাঙালির এই প্রেমকে ভালো চোখেই দেখেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, কার্বনের ভাণ্ডার এটি। এই উপাদান শরীরে শক্তি জোগায়। ফলে পুরো দিন কাটে কর্মচঞ্চল। এখানেই শেষ নয়। ভাতে আছে আয়রন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান। কিন্তু জ্বর হলে ভাত থেকে বারণ করেন অনেকে।
অনেকেই মনে করেন জ্বর এলে ভাত খেতে নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারণার কোনো বিজ্ঞানভিত্তি নেই। বরং জ্বর এলে অনায়াসে ভাত খাওয়া যায়। এই খাবার অত্যন্ত সহজপাচ্য। তাই এটি খুব সহজে হজম করা যায়। এতে থাকা কার্বের গুণে শরীরে শক্তির ঘাটতি দূর হয়ে যায়। তাই এখন থেকে জ্বর এলে ভাত খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। এতে উপকারই হবে।
বিজ্ঞাপন

খাবার খান অল্প পরিমাণে
জ্বর এলে খেতে ইচ্ছে করে না। আবার জোর করে খেলে বমিরও আশঙ্কা থাকে। তাই এসময় অল্প করে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেলে অল্প অল্প করে বারবার খান। এতে বমি পাবে না। সেসঙ্গে শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জি প্রবেশ করবে। ফলে খুব সহজেই সেরে উঠতে পারবেন আপনি।
কী খাবেন?
বিজ্ঞাপন
জ্বরের সময় অত্যধিক তেল, মশলা সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। এর বদলে হালকা করে রাঁধা সবজির পদ খেতে পারেন। সঙ্গে রাখুন ডাল। পাশাপাশি ছোট মাছের পদও খাওয়া যায়। এছাড়া দিনে অন্তত একটি মরশুমি ফল খান। এতেই দেহের পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন আপনি।

জ্বর হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে ওর্যাল স্যালাইন পান করুন। খেতে পারেন ডাবও। এতে উপকার মিলবে।
যেসব লক্ষণে সাবধান
১। জ্বর ক্রমাগত বাড়তে থাকলে
২। জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথা ব্যথা
৩। শ্বাসকষ্ট
৪। শরীরে র্যাশ বের হওয়া
৫. প্রচণ্ড বমি, পায়খানা

এসব লক্ষণ দেখা দিলে আর বসে থাকবেন না। বরং চেষ্টা করুন যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার। এতেই দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন।

