ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চায়ে চুমুক না দেওয়া পর্যন্ত যেন দিনই শুরু হয় না। চায়ের লিকারের ঘ্রাণে মন প্রাণ তাজা হয়ে ওঠে। তবে ভালো চায়ের জন্য চাই ভালো চা পাতা। কিন্তু বাজারে যেসব চা পাতা পাওয়া যায় সেগুলোতে ভেজাল থাকতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, চা পাতায় কাঠের গুঁড়ো, রাসায়নিক, ধাতুচূর্ণ, কৃত্রিম রঙের মতো নানা ভেজাল মেশানো হচ্ছে। এতে চায়ের রঙে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা না গেলেও পার্থক্য দেখা দেয় স্বাদে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজেই জানা যাবে চা পাতায় ভেজাল রয়েছে কিনা-
বিজ্ঞাপন
ব্লটিং পেপার
প্রথমে একটি ব্লটিং পেপারে কিছুটা চায়ের গুঁড়ো ঢালুন। এবার এই গুঁড়ো চায়ের ওপর সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর চায়ের গুঁড়ো সরিয়ে ব্লটিং পেপারটি আলোর সামনে নিয়ে দেখুন। ভেজাল চা কাগজের ওপর কালো বা খয়েরি রঙের দাগ ফেলবে। কিন্তু চা যদি খাঁটি তাহলে কাগজের ওপর কোনো দাগ পড়বে না। এবার ব্লটিং পেপারটি পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। চায়ে ভেজাল থাকলে ধোয়ার পরেও খয়েরি দাগ থেকে যাবে।
চুম্বক
বিজ্ঞাপন
চা পাতায় ভেজাল আছে কিনা তা চুম্বকের সাহায্যেও পরীক্ষা করতে পারেন। একটি কাচের পাত্রে চায়ের গুঁড়ো নিন। এবার একটি ছোট চুম্বক নিয়ে ধীরে ধীরে চায়ের ওপর ঘোরাতে থাকুন। চা খাঁটি হলে চুম্বকে কিছু লাগবে না। কিন্তু চায়ে যদি লৌহচূর্ণ মেশানো থাকে তাহলে তা চুম্বকের গায়ে আটকে যাবে। এতে সহজে বুঝতে পারবেন চায়ে ভেজাল আছে কিনা।
ঠান্ডা পানি
এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ১-২ চামচ চা পাতা দিয়ে ১ মিনিট রেখে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যে রং বের হলে বুঝবেন চা পাতায় ভেজাল আছে। আসল চা পাতার রং এত দ্রুত বের হয় না। তাও আবার ঠান্ডা পানিতে।
হাতে ঘষুন
চা পাতায় রাসায়নিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করার আরও একটি উপায় রয়েছে। হাতে চা পাতা নিয়ে ১-২ মিনিট ঘষুন। হাতে যদি কোনো রং দেখেন তাহলে বুঝবেন চা পাতায় কিছু রাসায়নিক মেশানো আছে।
এনএম