একটা সময় বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে হাঁটুর ব্যথা বা গাঁটের ব্যথা দেখা যেত। তবে এখন আর এটি বয়সের গণ্ডিতে আটকে নেই। যেকোনো বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের অভাব, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আর নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব মূলত গাঁটের ব্যথার কারণ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই মাটিতে পা ফেলতে কষ্ট হয়। বিশেষত বাড়ির বড়দের। এসব সমস্যা দূর করতে বেশিরভাগ মানুষ ভরসা রাখেন ওষুধে। তবে কেবল ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হলে কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগাতে পারেন। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
গাঁটের ব্যথা থাকলে অত্যধিক মাত্রায় টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবারে লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি ভাজাভুজি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
রান্নায় অলিভ অয়েল
বিজ্ঞাপন
খাবারে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দেশি ঘি ব্যবহার করুন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। অলিভ অয়েল দিয়েও রান্না করতে পারেন, এতে উপকার মিলবে।
সাদা তিল
গাঁটের ব্যথা দূর করতে দারুণ উপকারী সাদা তিল। রান্নায় তিল বেটে ব্যবহার করতে পারেন। এতে স্বাদও বাড়বে আর ব্যথাও কমবে। এছাড়া সালাদেও সাদা তিল ব্যবহার করতে পারেন।
সৈন্ধব লবণ
অলিভ অয়েলের সঙ্গে সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করতে পারেন। অলিভ অয়েল অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই লবণে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, কপার ও জিঙ্ক থাকে। এই দুই উপাদান সহজেই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও সর্ষের তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী।
লবণ-পানি
ঈষদুষ্ণ পানিতে লবণ মিশিয়ে তার মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটু ডুবিয়ে রাখুন। চাইলে হট ওয়াটার ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিন বার এই টোটকা মেনে চললে ব্যথা কমবে।
বাদাম দুধ
দুই কাপ দুধের সঙ্গে এক চামচ বাদাম, আখরোটের গুঁড়ো আর সামান্য মাত্রায় হলুদের গুঁড়ো ভালভাবে মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই দুধ খেলে ব্যথা কমবে। আদা খেলেও হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে। এক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা খেলেও উপকার পাবেন।
এনএম