একেক জন একেক ভাবে ঘুমায়। কেউ ঘর পুরো অন্ধকার করে ঘুমাতে ভালোবাসেন। কেউবা আবার হালকা আলোতে ঘুমান। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অন্ধকারে ঘুমানোর পক্ষেই। তাদের মতে, অন্ধকারে ঘুমালে ঘুমের গুণমান বাড়ে। এটি ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমায়।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে ঘুমান তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে। ১০০০ জনেরও বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা করা হয়েছিল। গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে ঘুমের সময় ঘরে আলোর উপস্থিতি আমাদের রক্তে শর্করা ও ইনসুলিন প্রতিরোধের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
বিজ্ঞাপন

গবেষণার জন্য মানুষগুলোকে দুটো দলে ভাগ করা হয়েছিল। এক দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে বলা হয়েছিল। অন্য দলকে বলা হয়েছিল আবছা আলোতে ঘুমাতে। কয়েক সপ্তাহ পর, উভয় গ্রুপের মানুষের রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল ছিল হতবাক করার মতো। যারা অন্ধকার ঘরে ঘুমান তাদের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো পাওয়া গেছে।
অন্ধকারে ঘুমানো কেন জরুরী? এর উপকারিতা কী? চলুন জেনে নিই-
ভালো ঘুম
বিজ্ঞাপন
অন্ধকারে ঘুমালে ঘুমের মান উন্নত হয়। এতে শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রাম পায় এবং সকালে সতেজ অনুভব করা যায়।

হরমোনের ভারসাম্য
অন্ধকারে ঘুমালে সঠিক পরিমাণে মেলাটোনিন হরমোন তৈরি হয়। এতে ঘুম ভালো হয়, মানসিক চাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
নিয়মিত অন্ধকারে ঘুমালে কমে যায় স্থূলতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমানোর সঠিক উপায় কী-
ঘর সম্পূর্ণ অন্ধকার রাখুন
ঘুমানোর আগে ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিন। বাইরে থেকে আলো আসলে মোটা পর্দা ব্যবহার করুন।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করুন
ঘুমানোর আগে টিভি, মোবাইল ও ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখুন। এগুলো থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমে হস্তক্ষেপ করে।

আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন
ঘুমানোর আগে, ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখুন এবং সম্ভব হলে, হালকা সঙ্গীত শুনুন কিংবা ধ্যান করুন। আরামদায়ক পরিবেশে ঘুম ভালো হয়।
নিয়মিত ঘুমানোর সময় নির্ধারণ করুন
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এতে শরীরের ঘড়ি ঠিক থাকে এবং ঘুম ভালো হয়।
এনএম

