ফ্রান্সের প্যারিসে চলছে অলিম্পিক গেমস। একে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। অলিম্পিক গেমসকে এই নামেই ডাকা হয়। বিশ্বের নানা প্রান্তে চার বছর ধরে অ্যাথলিটরা প্রত্যাশায় থাকেন অলিম্পিকের। সকলেরই সুযোগ মিলবে তা নয়। প্রস্তুতিতে কোনও কমতি থাকে না। অ্যাথলিটদের কাছে এটাই সেরা সুযোগ নায়ক হয়ে ওঠার। কেননা, এই ক্রীড়া উৎসবে জিতলে মেলে পদক। যার মূল আকর্ষণ স্বর্ণ পদক।
বিজ্ঞাপন
অলিম্পিকের স্বর্ণপদকে সোনার পরিমাণ কত তা অনেকেরই অজানা।
একজন অলিম্পিক অ্যাথলিটের কাছে স্বর্ণপদক পাওয়ার থেকে বড় সম্মান আর কিছু হতে পারে না। কোনও অলিম্পিয়ানের জন্য এর কোনও মূল্য হতে পারে না।
অতীতে বিশুদ্ধতা পরিমাপ করতে ব্যবসায়ীরা কয়েন কামড়ে দেখত। বর্তমানে পদক জিতে তা কামড়ানোও অ্যাথলিটদের অনেকের স্বভাব বৈকি। তারাও কি বিশুদ্ধতা মেপে দেখেন?
বিজ্ঞাপন
স্বর্ণপদকের বাজারগত দামের থেকেও আবেগ এবং পরিশ্রমের পুরস্কার হিসাবে প্রাপ্ত এই পদক দুর্মূল্য হয়ে উঠে।
কিন্তু আসলে স্বর্ণপদকে কত পরিমাণ সোনা থাকে এবং তার দামই বা কত?
১৯০৪, ১৯০৮ ও ১৯১২, মাত্র তিনটি অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদকের পুরোটাই সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। আজকের যুগের স্বর্ণপদকে কিন্তু মাত্র ছয় শতাংশই সোনা থাকে।
প্রতিটি পদকে রয়েছে আইফেল টাওয়ারের আয়রনের টুকরা। বাকিটা রুপা। যার বিশুদ্ধতা অন্তত ৯২.৫ শতাংশ।
খবর অনুযায়ী এবারের এক একটা স্বর্ণপদকের দাম প্রায় আট শ ডলার।
পুরো পদক সোনার হলে তার প্রচুর খরচসাপেক্ষ হয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ সোনার পদক দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রুপার পদকে কোনও সোনা না থাকায় তার দাম আরও কমে যায়। ৪৫০ ডলারের আশেপাশে। আর সেখানে ব্রোঞ্জ পদকের মূল্য স্বাভাবিকভাবেই আরও কম।
এজেড