বর্ষা কারো কাছে আনন্দদায়ক হলেও এই ঋতুটি আসে একাধিক ভোগান্তি নিয়ে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে বেশি। এই আর্দ্র, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশই বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। ফলে বর্ষায় নানাবিধ সংক্রমণ ত্বকে বাসা বাঁধে। এর থেকে দেখা দেয় অ্যালার্জি, র্যাশ। সঙ্গে থাকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া।
বর্ষাকালে তাই সুস্থ থাকতে ত্বকের বিষয়ে একটু যত্নবান হতেই হবে। নয়তো বাড়বে ত্বকের সংক্রমণ। এসময় কীভাবে নিজের যত্ন নেবেন। চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

হাইজিন মানুন
বর্ষাকালে ত্বকের যত্নে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এরজন্য প্রতিদিন একবার তো গোসল করবেনই, প্রয়োজনে দুইবারও করতে পারেন। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম হচ্ছে বেশি। আর ঘামের সঙ্গে ধুলো-বালি মিশে ত্বকরন্ধ্রও বুজে যাচ্ছে। যা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে নানা সংক্রমণ।
বাইরে থেকে ফিরে অবশ্যই গোসল করে নিন। এই মৌসুমে অবশ্যই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন। এতেই সব জীবাণু ধ্বংস হবে। গোসল শেষে শরীর ভালো করে শুকিয়ে নিন। শরীরের ভাঁজযুক্ত জায়গাগুলোতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বিজ্ঞাপন

সঠিক পোশাক পরুন
ত্বকের যত্নে বর্ষাকালে সঠিক ফেব্রিকের পোশাক পয়রা জরুরি। এসময় ঢিলেঢালা, পাতলা সুতির পোশাক পরুন। এতে ভালোভাবে বায়ু চলাচল করতে পারবে। ফলে ত্বকও থাকবে শুষ্ক। সিন্থেটিক ফেব্রিকের পোশাক এসময় পরা উচিত নয়। এসব পোশাক আর্দ্রতা ও গরম ধরে রাখে। ফলে ঘাম থেকে ত্বকে নানা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও বর্ষাকালে এক পোশাক বেশিদিন পরবেন না। নিয়মিত পোশাক বদলে ফেলুন। এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারলে বর্ষাকালেও ত্বকের সংক্রমণ এড়ানো যাবে।

নজর দিন পায়ে
বর্ষাকালে রাস্তায় পানি-কাদা জমে। এসব লেগে পায়ের অবস্থা খারাপ হয়। অফিসে যাওয়ার পরে এই নোংরা পানি পায়ে লাগা অবস্থাতেই দীর্ঘক্ষণ কাটাতে হয়। ফলে পায়ে সংক্রমণ বাড়ে। তাই বর্ষায় পায়ের বিশেষ যত্ন নিন।
বর্ষায় ভুলেও খালি পায়ে থাকা চলবে না। ওয়াটারপ্রুফ ও খোলামেলা জুতা পরুন। এই ধরনের জুতো দ্রুত শুকিয়ে যায়। সুযোগ হলে পানি-কাদায় পা ধুয়ে শুকিয়ে নিন। সঙ্গে পায়ে ভালো করে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডারও লাগিয়ে নিন।

ত্বকে র্যাশ হলে চুলকানি আর জ্বালাপোড়া হবেই। তবে জোরে চুলকানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ত্বক না চুলকে আলতো করে বরফ ঘষুন। সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল লাগালেও কিছুটা আরাম পাবেন। সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
এনএম

