সর্দি-কাশি কিছুই হয়নি। তবুও গলার স্বর অস্বাভাবিক ভারী হয়ে যাচ্ছে। কথা বলতে গেলেই গলায় ব্যথা লাগছে। কণ্ঠস্বর হয়ে গেছে কর্কশ। এমনকি খাবার গিলতেও কষ্ট হচ্ছে। আপনি কি এমন সমস্যায় ভুগছেন? এটি কিন্তু মোটেও অবহেলা করার বিষয় নয়।
পেশাদার কারণে যাদের জোরে বা চেঁচিয়ে কথা বলতে হয় তাদেরই এমন সমস্যা বেশি দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই সমস্যাকে ‘ল্যারিংজাইটিস’ বলা হয়।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসকরা বলছেন, এমন অনেক রোগী আছেন, যাদের এই সমস্যা দীর্ঘকালের। মাঝেমধ্যেই গলার স্বর বসে যায়। তবে কেবল যে চেঁচিয়ে কথা বলার কারণে এই রোগ হয় এমনটা নয়। দীর্ঘদিন অম্বলের সমস্যা, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণেও এমনটা হতে পারে।
‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ হলে খাদ্যনালী দিয়ে অ্যাসিড উপরে উঠে আসে। তখন বুক-গলা জ্বালা করতে থাকে। অন্যদিকে, স্বরযন্ত্রে পলিপ হলেও এমনটা হতে পারে। ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা এই রোগে বেশি ভোগেন।

বিজ্ঞাপন
যেসব লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হবেন
গলা বসে যাওয়া
কর্কশ আওয়াজ বারে হওয়া
ঢোক গিলতে গেলে সমস্যা হওয়া
শুকনো কাশি
মাঝেমধ্যেই জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া
শ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকে ব্যথা

অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরও যদি স্বাভাবিক স্বর ফেরত না আসে তাহলে বুঝতে হবে অন্য কোথাও গুরুতর সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকরা তখন এন্ডোস্কোপ বসিয়ে স্বরনালী পরীক্ষা করেন। যদি ভোকাল কর্ডে পলিপের মতো মাংসপিণ্ড থাকে, তাহলে দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হয়। লেজারের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যায়।
অস্ত্রোপচারের পর ওই মাংসপিণ্ডের বায়োপসি করে দেখা হয়, সেটি ‘ম্যালিগন্যান্ট’ কি না। যদি হত তখন কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপিতে রাখা হয় রোগীকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কোনোরকম অসুস্থতা ছাড়াও যদি দেখেন, গলার স্বরে আচমকা বদল এসেছে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এনএম

