সূর্যমুখী ফুল দেখেছেন নিশ্চয়ই। হলুদ রঙা এই ফুলটি দিনের আলোয় সূর্যের দিকে মুখ করে রাখে বলেই হয়তো এর নাম। ফুলের ঠিক মাঝখানেই থাকে গাঢ় বাদামী রঙের অসংখ্য বীজ। এই বীজ কিন্তু ভীষণ উপকারি খাদ্য উপাদান। প্রচুর পুষ্টি, ফ্যাট আর ফাইবারে পূর্ণ।
সকালের নাশতায় কিংবা ভর দুপুরের খিদে মেটাতে খেতে পারেন সূর্যমুখী বীজ। কী কী উপকার মিলবে তাতে? চলুন জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সূর্যমুখী বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও পুষ্টি। তাই এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এই বীজ শরীরে জিঙ্কও সরবরাহ করে, যা ভাইরাস ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের শরীরের ক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন- পুঁই বীজ খেলে কী হয়?
হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে
সূর্যমুখী বীজ হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রদাহ কমায়
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে সূর্যমুখী বীজ। কারণ এতে প্রদাহ- বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য রোগের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপনি কি ওজন কমানোর কথা ভাবছেন? তাহলে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন উপকারি এই বীজ। এতে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে, যা পেট ভরিয়ে রাখে এবং ফাইবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ত্বক ভালো রাখে
সূর্যমুখী বীজ কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়ায়। ফলে ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এছাড়াও এই বীজে থাকা ভিটামিন ই অকাল বার্ধক্য এবং ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
আরও পড়ুন- তুলসী বীজ: রোগ নিরাময়ে প্রাকৃতিক ওষুধ
হজমের উন্নতি ঘটায়
হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে সূর্যমুখী বীজ। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কারণ এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা মলত্যাগের জন্য অপরিহার্য।

হাড় মজবুত করে
এটি হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। সূর্যমুখী বীজে থাকা ফসফরাস, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি হাড়ের ঘনত্বও উন্নত করে, যা অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
সবমিলিয়ে শরীরের জন্য বেশ উপকারি একটি খাদ্য সূর্যমুখী বীজ। তবে এটি আপনি খেতে পারবেন কিনা, কতটুকু খেতে পারবেন তা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
এনএম

