‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা এআই এর জয়জয়কার এখন সর্বত্র। মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাম বেশি। তবে ক্যানসার চিকিৎসায় এআই এর প্রয়োজন যুগান্তকারীই ঘটনা বটে। একদল গবেষক এটি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, টিস্যুর নমুনা পরীক্ষা করে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রায় ১৩ রকমের ক্যানসার নির্ভুল ভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম।
ক্যানসার প্রতিরোধ বা নিরাময় করা যায়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় রোগ নির্ণয়ে দেরি হয় বলে তা মারণরোগ হয়ে ওঠে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের মতে, মানবদেহে যত ধরনের রোগ হতে পারে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্যানসার। বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ১.৯ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ১ কোটির মৃত্যুও হয়। মারণরোগ হলেও ক্যানসার ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। সে প্রমাণ মিলেছে বহু ক্ষেত্রেই। কিন্তু এমন কিছু ক্যানসার রয়েছে, যা খালি চোখে লক্ষণ দেখে বোঝার উপায় থাকে না। এমনকি, বহু ক্যানসার প্রাথমিক কিছু পরীক্ষাতেও সহজে ধরা পড়ে না। এই কাজটিই করবে এআই।
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্যানসার আক্রান্ত কোষের প্রাথমিক ‘ডিএনএ’ সংক্রান্ত যে পরিবর্তন, তা সহজেই এই ধরে ফেলতে পারে এবং ৯৮.২ শতাংশ ক্ষেত্রেই তা নির্ভুল।
‘ফাইভ সি নেটওয়ার্ক’ সংস্থার সিইও কল্যাণ শিবশৈলমের মতে, ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনায় উন্নততর এই প্রযুক্তির ব্যবহার চিকিৎসক এবং রোগী দু’পক্ষের জন্যই ভালো।
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

