কোথায় কোনো শব্দ নেই। চারপাশে পিনপতন নিরবতা। অথচ আপনার কানে হঠাৎ করে হচ্ছে ভোঁ-ভোঁ, শোঁ-শোঁ শব্দ। কখনো বা কানে ভেসে আসছে ড্রাম বা বাঁশি বাজানোর আওয়াজ। অথচ এই শব্দ অন্য কেউ শুনতে পাচ্ছে না। এমন ঘটনা ঘটলে তা মোটেও ভৌতিক কিছু নয় বরং কানের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
দুই তিনদিনের বেশি এমনটা চলতে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? চলুন বিস্তারিত জানা যাক-
বিজ্ঞাপন

ইএনটি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের নাম টিনিটাস। সচরাচর এমনটা দেখা যায় না। মারাত্মক গরমে এমন রোগীর দেখা মিলছে। ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশের তাপমাত্রা, দিনভর আর্দ্র গরমের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না মানুষ। এই আচমকা কষ্টদায়ক পরিবর্তনের জেরেই টিনিটাস রোগ দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- কানে পানি ঢুকলে বের করার উপায়
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এমন কিছু রোগীর দেখা মিলছে যাদের হঠাৎ গরমে প্রবল পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা থেকেই টিনিটাস হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

চিকিৎসকদের মতে, কানের মধ্যে সারাক্ষণ বাতাসের শোঁ-শোঁ শব্দ, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক কিংবা বাঁশির শব্দের মতো অস্বাভাবিক আওয়াজ শোনার সমস্যাকেই টিনিটাস বলে। এক কান বা উভয় কানেই এই সমস্যা হতে পারে। এক কানে হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাঁ কানে হয়।
এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের কেউ একটানা শব্দ শোনেন আবার কেউ কিছুক্ষণ পর পর। দিনের বেলা তেমন বোঝা না গেলেও রাতের বেলা যখন চারদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখনই এই অস্বাভাবিক শব্দ কানে বেশি করে বাজে। যা অস্বস্তি ও অনিদ্রার কারণ হয়।

আবার অনেক ক্ষেত্রে অনিদ্রাই এই রোগের কারণ। গরমে অনেকেই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। দিনের পর দিন ঘুমের ব্যাঘাতে দেখা দিচ্ছে টিনিটাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়সজনিত নার্ভ বধিরতা এর মূল কারণ। এছাড়াও কাজের চাপ বা স্ট্রেসের কারণেও টিনিটাস হয়ে থাকে। এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এনএম

