শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এটি। সাহায্য করে হজমে। দেহের বিপাকহারও নিয়ন্ত্রণ করে লিভার। তাই সুস্থ থাকতে অবশ্যই লিভার বা যকৃতের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে হবে।
লিভার ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে বাইরের খাবার খাওয়া কমাতে হবে। ছাড়তে হবে মদ ও মিষ্টি। কিছু খাবার রয়েছে যা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন

গাজর খান নিয়মিত
বিটা ক্যারোটিনের ভান্ডার গাজর। এই উপাদান শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। আর এই ভিটামিন হলো ফ্যাটে দ্রবণীয়। গাজর খাওয়ার পর বাইল ফ্লো বাড়ে কয়েকগুণ। ফলে লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর সব উপাদান দ্রুত দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত গাজর খান।
আরও পড়ুন- রোজ এই মসলা খেলে ভালো থাকবে লিভার
উপকারি বিটরুট
বাঙালি রান্না বিট তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না। আর তাই এর একাধিক স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত থাকছি আমরা। ফাইবারের ভাণ্ডার বিট। এতে আছে ফোলেট ও পেকটিনের মতো উপাদান। এসব উপাদান লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এমনকী লিভারে জমে থাকা ময়লাকে শরীরের বাইরে বের করে দিতে পারে এই সবজি। তাই লিভার ভালো রাখতে রোজকার পাতে বিটরুট রাখতে চেষ্টা করুন।

ক্রুসিফেরাস ভেজিটেবল
আমাদের পরিচিত বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং ব্রকোলি ক্রুসিফেরাস সবজির মধ্যে অন্যতম। এসব সবজি লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারি। কারণ এসব সবজিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা লিভারে মজুত টক্সিনকে দূর করে দেয়। এসব সবজিতে আছে ভিটামিন সি যা লিভারের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে রোজ এসব সবজি খান।
তবে কেবল খাবার দিয়ে লিভার সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।

সুগার, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন
গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিস এবং হাই কোলেস্টেরলে ভুক্তভোগীদের ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। এসব রোগ থাকলে লিভারে প্রদাহজনিত সমস্যাও হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে তেল-মশলা সমৃদ্ধ এবং মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকুন। এর পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় রাখুন শাক, সবজি আর ফল।
আরও পড়ুন- ওষুধ ছাড়াই লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন
ব্যায়াম করতেই হবে
লিভার সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করতেই হবে। সবচেয়ে ভালো হয় জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পারলে। না পারলে ঘরে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। ব্যায়ামের সময় মেলাতে না পারলে অন্তত কিছুটা সময় হাঁটুন। এতে লিভারসহ পুরো দেহই সুস্থ থাকবে।
এনএম

