বিড়াল ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন ওঠে কালো বিড়ালের তখন অনেকেই এড়িয়ে যান। কালো বিড়াল পথে দেখলেও কেউ কেউ আঁতকে ওঠেন। মনে করা হয়, এই বিড়াল অশুভ। তাই কালো বিড়াল কেউ পুষতেও চান না।
আসলেই কি কালো বিড়াল অশুভ? চলুন আজ কালো বিড়াল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জেনে নিই যা শুনলে অবাক হবেন আপনি-
বিজ্ঞাপন

সাধারণত খুব কম লোকই কালো বিড়াল পছন্দ করেন। কিন্তু নাবিকদের ক্ষেত্রে তা ছিল না। ব্রিটিশ জাহাজে ইঁদুর শিকারের জন্য বিড়ালদের চড়ার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নাবিকরাও কালো বিড়ালকে বিশেষভাবে ভাগ্যবান ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের রক্ষক হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।
কালো বিড়ালের রঙের কারণ জেনেটিক। কালো পশমের জিন তিন ধরনের হয়ে থাকে। কুচ কালো, বাদামী কালো এবং দারুচিনি কালো। রংটি প্যাটার্নের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে। প্রবল সূর্যালোকের এক্সপোজারের ফলে বিড়ালের লোমে থাকা ইউমেলানিন পিগমেন্ট ভেঙ্গে যেতে পারে। ফলে হারানো ডোরা আগের মতো দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন
এর আরেকটি কারণ হতে পারে পুষ্টির অভাব। অনেকসময় পুষ্টির অভাবে গাঢ় বাদামি থেকে কালোতে বিড়ালের রঙ রূপান্তরিত হতে পারে।
কালো বিড়ালকে অশুভ মনে করা হলেও বাস্তবে এটি অন্যান্য বিড়ালদের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর। এর একটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। যে জিনের কারণে বিড়ালের লোম কালো হয় সেই জিনটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিছু বিজ্ঞানীর মতে, কালো বিড়ালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়।

জাপানের হিমেজিতে নেকোবিওকাতে কালো বিড়ালদের দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এই ক্যাফের কালো বিড়াল তাদের পোষা। এই বিড়ালরা যাতে একে অপরের সঙ্গে মিশে না যায়, তাই বিভিন্ন রঙের ফিতে পরানো হয়।

