কে আগে এসেছে, মুরগি না ডিম- এ নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকে অবিরাম। তবে শরীরের জন্য ডিমের কুসুম নাকি সাদা অংশ বেশি উপকারি তা নিয়ে কি কোনো ধারণা আছে আপনার? আজকাল অনেকেই কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খান। মনে করেন, কুসুম খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। হার্টের কোনো সমস্যা থাকলে সেটিও জটিল হতে পারে।
তাহলে কি ডিমের কুসুমের কোনো উপকারিতা নেই? কী বলেন পুষ্টিবিদরা?
বিজ্ঞাপন
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রোটিন, ভিটামিন, নানা রকম খনিজ আর ভালোমানের ফ্যাটের উৎস ডিম। এর সাদা অংশ আর কুসুম দুটোরই ভালো আর মন্দ দিক রয়েছে। তবে কেউ ডিমের সাদা অংশ খাবেন নাকি খালি কুসুম— তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতির ওপর।
ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার উপকারিতা
কম ক্যালোরি
বিজ্ঞাপন
ডিমের সাদা অংশের ক্যালোরি কম থাকে। তাই যারা ওজন নিয়ে সচেতন তাদের জন্য এই অংশটি খাওয়া ভালো।
পেশী গঠন
অনেকেই ভাবেন, কেবল ডিমের কুসুমে প্রোটিন থাকে। এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। পেশির গঠনে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
ডিমের সাদা অংশে কোনো কোলেস্টেরল নেই। যারা রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডিম খেতে চান না, তারা নিশ্চিন্তে এই অংশটি খেতে পারেন।
ডিমের কুসুম খাওয়ার উপকারিতা
প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান
ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং বি। আরও আছে আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো খনিজ। শরীরের জন্য সবগুলো উপাদান বেশ জরুরি।
বিপাকহারের উন্নতি
ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলিন নামক খনিজ। এটি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বিপাকহার উন্নত করতেও খনিজটি প্রয়োজনীয়।
হার্টের জন্য উপকারি
হার্ট ভালো রাখার জন্য ভালোমানের ফ্যাট খাওয়া প্রয়োজন। কুসুমের মধ্যে রয়েছে সেই পলি ও মনো দু’ধরণের আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যদিও কুসুমে কিন্তু কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই আপনার শারীরিক অবস্থান অনুযায়ী ঠিক করে নিন কেবল সাদা অংশ খাবেন নাকি কুসুমসহ ডিম খাবেন।