পেটের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনেকেই বছরজুড়ে পেটজনিত নানা সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত রাতের খাবার খাওয়ার পর এই সমস্যা আরও বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছে যায়। যতক্ষণ না খাদ্যনালীর এই জ্বালাপোড়া কমছে ততক্ষণ দুচোখের পাতায় ঘুম আসে না। এই সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘স্পোরাডিক অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ বলে।
রাতে খাবার খাওয়ার পর বুক জ্বালা-পোড়া করলে কিংবা চোঁয়া ঢেকুর ওঠার সমস্যা ঠেকাতে অনেকেই ‘অ্যান্টাসিড’ গোত্রের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে, এসব ওষুধ খাওয়ার আগে সমস্যার উৎস খুঁজে বের করা জরুরি।
বিজ্ঞাপন

যেমন— এমন কিছু খাবার ও পানীয় রয়েছে যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়তে পারে। অ্যালকোহল, ক্যাফিনজাতীয় পানীয়, মশলাদার খাবার, চকোলেট, টমেটো ইত্যাদি খেলে গলা-বুক জ্বালা করতে পারে। অনেকসময় মানসিক চাপ থেকেও অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।
সমস্যা নিয়ন্ত্রণে করণীয়
চিকিৎসকদের মতে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি শোয়ার ভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন মুখ, মাথা যেন পেটের থেকে সামান্য হলেও উঁচুতে থাকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে।
বিজ্ঞাপন

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধ্যান অভ্যাস করতে পারেন। অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এটি। অসুস্থতা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে ওষুধ তো আছেই।
এনএম

